এবারের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ছবি, ভিডিও দেখা যাচ্ছে। তবে সব ছবি, ভিডিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কোনও ছবি, ভিডিও দেখে বিশ্বাস করার আগে যাচাই করে নেওয়া ভালো।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে তমলুকে হারছেন বিজেপি প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি চিঠিতে এই দাবি করা হচ্ছে। এই চিঠি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দল উল্লসিত, গেরুয়া শিবির সংশয়ে। সত্যিই কি আরএসএস এই সমীক্ষা চালিয়েছে? জলন্ধর মাহাতো নামে যে প্রদেশ প্রচারকের নাম ও স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, তিনি কে? এখন রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনাই চলছে। এই চিঠির পিছনে কে বা কারা আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।
কী দাবি আরএসএস-এর?
'ফ্যাক্ট চেক' সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বুম-এর পক্ষ থেকে আরএসএস-এর তাম্রলিপ্ত বিভাগের সংঘ চালক গৌরহরি সামন্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই চিঠি ভুয়ো। অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে এই চিঠি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা সংঘের কাজ না। জলন্ধর মাহাতো নামে আমাদের কোনও সদস্য নেই।’
কড়া বিবৃতি আরএসএস-এর
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, তাম্রলিপ্ত বিভাগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক ভুয়ো ’লেটার হেড' তৈরি করে সঙ্ঘের মাননীয় সহক্ষেত্র প্রচারকের নাম ভুলভাবে ব্যবহার করে বাংলায় টাইপ করা একটি চিঠি তমলুক লোকসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাতের অন্ধকারে বিলি করা হচ্ছে। এই বিবৃতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলীর উদ্দেশ্যে একটি কাল্পনিক 'চিঠি' লেখা হয়েছে এবং সেই চিঠির প্রেরক হিসেবে জনৈক 'জলন্ধর মাহাত'র নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সঙ্ঘের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে সঙ্ঘ একটি সামাজিক সংগঠন এবং সঙ্ঘ কোনও রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কখনও হস্তক্ষেপ করে না। ‘জলন্ধর মাহাত’ নামে সঙ্ঘের কোনও কার্যকর্তা এ রাজ্যে বা অন্য রাজ্যে নেই। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়ো চিঠি। সঙ্ঘ এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধ করতে শীঘ্র আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-