ভোট মিটে গেছে কবে, কিন্তু শান্তি নেই এই রাজ্যে। গড়ে প্রায় প্রতিদিনই ১০টি করে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে West Bengal)। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
ভোট মিটে গেছে কবে, কিন্তু শান্তি নেই এই রাজ্যে। গড়ে প্রায় প্রতিদিনই ১০টি করে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে West Bengal)। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
রাজ্যেরই দেওয়া এই হিসেব দেখে রীতিমতো কড়া মন্তব্য আদালতের। শুক্রবার, আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, “অশান্তি নিয়ে অনেকগুলি গুরুতর অভিযোগ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে এবং আসছেও। আমরা তাই বাস্তব চিত্রটা জানতে চাই।”
হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের আইনজীবী শুক্রবার আদালতকে বলেন, অনেকেই হিংসার ঘটনার পর থেকে পুরোপুরি ঘরছাড়া। আতঙ্কে বাড়িও ফিরতে পারছেন না অনেকে। আদালত সেই প্রসঙ্গে বলে, “আমরা চাই মঙ্গলবারের মধ্যে সব ঘরছাড়া ব্যক্তিরা বাড়ি ফিরুক। যে সমস্ত জায়গা থেকে বেশি হিংসার অভিযোগ আসছে, সেই এলাকাগুলিতে আরও সক্রিয় হতে হবে পুলিশকে।” এদিন এই মামলার শুনানিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Force) রেখে দেওয়ার মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্ট সেই মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২১ জুন করে দেয়। নিয়মানুযায়ী, শুক্রবারই সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, রাজ্য থেকে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফেরানো যাবে না। বরং আগামী বুধবার, অর্থাৎ ২৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
শুক্রবার, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী আদালতকে জানান যে, রাজ্যের দেওয়া হিসেবই বলে দিচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে রোজ ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ সামনে আসছে। অর্থাৎ, পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে, একেবারেই ঠিক নেই।
তাই রাজ্যে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা উচিত বলে দাবি করেন তিনি। যদিও রাজ্যের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন যে, রাজ্যের অমতে এত দিন ধরে আদৌ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা যায় কি না, তা নিয়ে।
কিন্তু এই বিষয়ে দুই পক্ষের যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত পুরনো রায়ের উদাহরণও টেনে আনা হয় হাইকোর্টে। এরপর শুক্রবার, শুনানি মুলতবি রাখে আদালত। একইসঙ্গে জানিয়ে দেয়, রাজ্য নিজেই যেখানে ভোটপরবর্তী হিংসার অভিযোগের হিসেব দিচ্ছে, তাতে স্পষ্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর এখনও থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে। ফলে, আগামী বুধবার পর্যন্ত ওই নির্দেশ বহাল থাকছে। রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার মেয়াদ বাড়ল আরও ৫ দিন, মানে ২৬ জুন পর্যন্ত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।