Mamata Banerjee: 'ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্য ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি গেল', আদালতের রায় প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার

চাকরিহারা ছেলেমেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Web Desk - ANB | Published : May 15, 2023 2:17 PM IST / Updated: May 15 2023, 07:51 PM IST

৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তোপ দাগলেন ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যেও। চাকরিহারা ছেলেমেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার সেই পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত রাজ্যেরও। পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে ডিএ আন্দোলনকারীদেরই দায়ী করলেন তিনি।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন,'অনেকেই আমাকে ফোন করেছেন এবং দেখা করতে চাইছেন। চাকরি বাতিলের কারণে অবসাদে ভুগছেন অনেকে। আমাদের সাহায্য চাইছেন। আদালতের বিচারাধীন বিষয় আমি কিছু বলব না। তবে সরকারের কী অবস্থান তা বলব। নতুন নিয়োগ করা যাচ্ছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাব। আইনত যতদূত লড়া সম্ভব আমরা করব। দয়া করে কেউ অবসাদে ভুগবেন না।' ডিএ আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন,'ডিএ নিয়ে চিৎকার করছে, তাদের জন্য ৩৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি চলে গেলে। '

গত শুক্রবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় অনুসারে প্রাথমিকে চাকরি গিয়েছে ৩৬ হাজার শিক্ষকের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার ইঙ্গিত পর্ষদের। ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। আপাতত চাকরি হারা শিক্ষকদের পক্ষেই দাঁড়াচ্ছে পর্ষদ। ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনাও করলেন তিনি।

কী নির্দেশ দিল আদালত?

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় পদক্ষেপ। ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ৩৬ হাজার শিক্ষককে অপ্রশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আদালতের রায় অনুযায়ী আগামী ৩ মাস এই শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। প্যারা টিচার হিসেবে বেতন। এই তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরাও ইতিমধ্যে যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন বলেও জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?

পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,'আমরা এখনও অর্ডার কপি হাতে পাইনি। আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। পর্ষদ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অ্যাপিল করবে।' পাশাপাশি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আরও জানান,' যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁরা এখন আর প্রশিক্ষণহীন নন। ২০১৯ সালেই এঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। NCTE (ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন)-এর নিয়ম মেনে বোর্ড এঁদের চাকরি দিয়েছে। এখন কেউ প্রশিক্ষণহীন নন।'

Share this article
click me!