এক বছরে প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা এই জেলায়! কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন
নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে শনিবার মেদিনীপুরে 'কনসালটেশন অফ এডোলেশন সেল অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি'র মিটিংয়ে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার হার কমাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নাবালিকার বিয়ে না রুখতে পারলে নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বার হার কমানো যাবে না বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
তাই এবার চাইল্ড ম্যারেজ রুখতে ভিলেজ চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটিগুলিকে আরও সক্রিয় করার চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে।
এই কমিটির মধ্যে থাকবেন গ্রামের মোড়ল, পুরোহিত, সিভিক ভলান্টিয়ার, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যরা।
কোনও নাবালিকার বিয়ের কথা শুরুর আগেই যাতে স্থানীয় প্রশাসন বা শিশু সুরক্ষা দফতরের কর্মীরা দ্রুত পৌঁছতে পারেন সেই কারণেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
এই দিনের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হোন্নাইয়া,জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কন্যাশ্রীরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুরে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার সংখ্যা হল ১০,৭৫৫ জন। জেলায় নাবালিকা বিয়ের হার অন্য জেলার তুলনায় অনেকটাই বেশি বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা এবং মাতৃ-মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।