শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত দেহ আটকে রাখার হুমকিও দেয় মৃতের পরিবারের লোকেরা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেরদিনও অশান্তি বাংলায়। শুক্রবারও রক্ত ঝড়ল মুর্শিদাবাদে। র্শিদাবাদ ইসলামপুর থানা এলাকার হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রার্থী হৃদয় মণ্ডলের জ্যাঠতুতো দাদা অরবিন্দ মণ্ডলকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত দেহ আটকে রাখার হুমকিও দেয় মৃতের পরিবারের লোকেরা। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছেও ঘটনার বিচার চান তাঁরা।
ঘটনার পরই হেরামপুর গ্রামে পৌঁছন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দেখা করের নিহতের পরিবারের সঙ্গেও। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। নিহতের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ধমক দেন পুলিশ আধিকারিককেও। অধীর চৌধুরীর কথায়,'আর কত রক্ত ঝড়বে? ওঁর ভাই হৃদয় মণ্ডল কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁর জন্য অরবিন্দ মণ্ডলকে হত্যা করা হল। আর কত রক্ত ঝড়লে এসব বন্ধ হবে?'
অন্যদিকে নির্বাচন সুষ্টুভাবে পরিচালনা করতে আজই লে থেকে এয়ারলিফটিং করে আনা হচ্ছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। আকাশপথে প্রথমে পানাগড় এয়ারবেসে পৌঁছবে বাহিনী। সেখান থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট বুথে মোতায়েন করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ১টা বা দুটো বুথ থাকলে ওই এলাকায় হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। যেখানে বুথের সংখ্যা ৩টে বা ৪টে সেখানে ১ সেকশন অর্থাৎ ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ৫টা বা ৬টা বুথ থাকলে সেই এলাকায় দেড় সেকশন মানে ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ৭ বা তার বেশি বুধ থাকলে ২ সেকশন বা ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
উল্লেখ্য, বিএসএফ-র আইজি বলেছেন, সংবেদনশীল বুথগুলিতে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্য পুলিশের সদস্যদেরও রাখতে হবে। তবে তাতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে।