মানুষ ক্রমশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে: অধীর রঞ্জন চৌধুরী

অধীর বলেন কেউ আমার দল করতে পারে, আবার নাও পারে। কিন্তু তার জন্য প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করা কংগ্রেসের ধর্ম নয়।

Web Desk - ANB | Published : Feb 26, 2023 10:50 AM IST

সাগরদিঘী নির্বাচনের আগে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে বোমা ও বন্দুকের সংক্রৃতি। বোমার অতিরিক্ত ব্যবহার বর্তমান শুধু নয়, ভবিষ্যত প্রজন্মকেও শেষ করে দিচ্ছে।

রবিবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ও তৃণমূল দলকে একহাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন যখন একজন পরীক্ষার্থী নিজের ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, তখন বাংলার এই বোমা-বারুদের সংস্কৃতি বাংলার জীবনকে বিনষ্ট করে দিচ্ছে। রাজ্যে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি।

ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূল

এদিন অধীর বলেন, সাগরদিঘি বিধানসভার যে সমস্ত সীমান্ত এলাকায় নির্বাচন নেই সেখানে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীকে মোতায়ন করা হচ্ছে। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু সাগরদিঘির মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁরা তাঁদের অধিকার ঠিকই বুঝে নেবে। তৃণমূলের মোকাবিলা করতে সাগরদিঘির মানুষ প্রস্তুত।

অধীর বলেন কেউ আমার দল করতে পারে, আবার নাও পারে। কিন্তু তার জন্য প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করা কংগ্রেসের ধর্ম নয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে, মোদীর দালালি করে রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মোদী-দিদি সেটিং তত্ত্ব উসকে দিয়ে তিনি বলেন, দিদির ভাইদেরকে বলব বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করে দেখনদারি রাজনীতি করতে হবে না। দিদি-মোদীর আঁতাত গোটা ভারতবর্ষ জেনে গিয়েছে। সেই আঁতাত দিদি যত্ন সহকারে পালন করছেন। শুধু এ রাজ্য নয়, বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে।

অধীরের কথায়, নির্বাচন কমিশনকে নজর রাখতে বলেছি। কারণ পশ্চিমবঙ্গ মানে নির্বাচনী সন্ত্রাস এটা সারা ভারতবর্ষ জানে। তৃণমূল মানে নির্বাচনের সন্ত্রাস আর নির্বাচনী সন্ত্রাস মানেই তৃণমূল। তাই স্বাভাবিকভাবে সাগরদিঘি নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো সন্ত্রাসের সুযোগ না পায় রাজ্যের শাসকদল, তা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে আমরা দাবি পেশ করেছি।

প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, আমরা বলেছিলাম নওশাদকে ছেড়ে দিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অন্যায়ভাবে একজন জনপ্রতিনিধিকে আটকে রেখেছে। নওশাদ সিদ্দিকী প্রতিবাদ করেছেন, তার জন্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এতদিন জেলে রাখার কোনো প্রয়োজন হয় না বলেই আমরা মনে করি। বিরোধীদের জায়গা দিতে চাইছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। 

পঞ্চায়েতে মানুষ ভোট দিতে পারেনি, এবার যেন সুযোগ পান

অধীর চৌধুরী বলেন, যাঁকে খুশি ভোট দিন, কিন্তু আপনার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। পঞ্চায়েতে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবার যেন মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। এই মর্মে তিনি নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেন। আবেদন করেন ভোটগ্রহণকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার। তারপর মানুষ যাঁকে ভোটে দেবে, সে জিতবে।

Share this article
click me!