৭ পৌষ সকালে বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মেলার সূচনা হয়। তারপর চলে ৮, ৯ ও ১০ পৌষ পর্যন্ত। সারা পৃথিবী থেকে অগুন্তি পর্যটক এসে শান্তিনিকেতনে ভিড় জমান। ফলে, এটি আনন্দ এবং সংস্কৃতির উদযাপনের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের একটা বিরাট লাভের উৎসও হয়ে ওঠে।
শুধুমাত্র বোলপুর বা শান্তিনিকেতন নয়, সারা বাংলা, এমনকি পৃথিবীর সমস্ত বাঙালিদের কাছে এক নস্টালজিয়ার আকর্ষণ হল বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা (Poush Mela 2023)। ২০১৯ সালে পূর্ববর্তী প্রত্যেক বছরের মতো শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা আয়োজিত হলেও ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর পর পর ২ বছর পরিবেশ দূষণ হওয়ার দোহাই দিয়ে ২০২১ ও ২০২২ সালে পূর্ব পল্লির মাঠে পৌষমেলা করার অনুমতি দেননি বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর কর্মীরাও। ২০২১ ও ২০২২ সালে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়েছিল বটে, তবে তা পূর্বপল্লীর মাঠের মেলার মতো সমাদর পায়নি। সেই গ্লানি অতীত রেখে ২০২৩ সালে আবার মেলা ফিরিয়ে আনার অনুমতি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর নবাগত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক।
-
২০২৩ সালে পূর্ব পল্লীর মাঠেই আবার ফিরছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। ৩ বছর পর মেলা বসবে আগের সেই চেনা স্থলেই। শুক্রবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিকের নেতৃত্বে কর্ম সমিতির বৈঠকে মেলা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিরাট আকারে মেলা হবে না। পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে মেলা হবে ছোট করে। মেলা চলাকালীন পরিবেশের কথাও মাথায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
-
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌষমেলার সূচনা করেছিলেন শান্তিনিকেতনে। প্রতি বছর রীতি মেনে ৭ পৌষ আয়োজিত হয় এই পৌষমেলা। সেই দিন থেকে ৪ দিন ব্যাপী এই উৎসব পালিত হয়। ৭ পৌষ সকালে বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মেলার সূচনা হয়। তারপর চলে ৮, ৯ ও ১০ পৌষ পর্যন্ত। ১০ পৌষের পর ১১, ১২ এবং ১৩ পৌষ চলে ভাঙা মেলা। এই মেলায় প্রায় ২০০০ হাজারেরও বেশি দোকান বসে। সারা পৃথিবী থেকে অগুন্তি পর্যটক এসে শান্তিনিকেতনে ভিড় জমান। ফলে, এটি আনন্দ এবং সংস্কৃতির উদযাপনের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের একটা বিরাট লাভের উৎসও হয়ে ওঠে।
-
২০২৩ সালের নভেম্বর ৮ তারিখ উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। শুক্রবার তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠক বসে। সেখানে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবারও পূর্বপল্লির মাঠেই হবে পৌষমেলা। দূষণবিধি মেনে ছোট করে মেলার আয়োজন করা হবে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্র্যাইবুনালের গাইডলাইন মানা হবে। এর জন্য তাঁদের কাছে যাওয়া হবে। গাইডলাইন পেলেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে মেলা আয়োজন নিয়ে দ্রুত বৈঠক করা হবে।