গত ৫৪ বছরে উষ্ণতার রেকর্ড গড়ল ২০২৩-এর মকর সংক্রান্তি, জাঁকিয়ে শীতের বদলে বৃষ্টির পূর্বাভাস

জানুয়ারি মাসেই বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মকর স্নানের সময় রবিবার গঙ্গাসাগর সহ গাঙ্গেয় উপকূলের দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Jan 14, 2023 11:18 AM IST

বিগত ৫৪ বছরে রেকর্ড। উষ্ণতম ১৪ই জানুয়ারি পেল ২০২৩ সাল। ‘উষ্ণ’ শীতকালেই বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়। বৃষ্টি হতে পারে আসন্ন সপ্তাহের বুধবার। তবে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা আগামী সপ্তাহেও নেই বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহ উষ্ণই কাটবে বলে আবহাওয়াবিদদের অনুমান।

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, শক্তিশালী উচ্চ চাপ বলয় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের ওপর। সাগরের দিক থেকে আসা দখিনা বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গে। আরেকদিকে, শীতল উত্তুরে হাওয়া আটকে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে। অর্থাৎ, শীতল হাওয়া থমকে গিয়ে হু হু করে ঢুকছে গরম হাওয়া। আপাতত এই পরিস্থিতি বদল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

আসন্ন সপ্তাহে সোমবার থেকে তাপমাত্রার পারদ অতি অল্প পরিমাণে নেমে যেতে পারে। কলকাতায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে পারদ। বুধবার আবার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার কলকাতা সহ গাঙ্গেয় উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়াবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত ৫৪ বছরের মধ্যে আজ উষ্ণতম ১৪ই জানুয়ারি। ২০০০ সালে ১৪ জানুয়ারির দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠে গিয়েছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেটাই ছিল সর্ব শেষ উষ্ণতম জানুয়ারি। এরপর ২০২৩-এ উষ্ণতম মকর সংক্রান্তিতে তাপমাত্রার পারদ রয়েছে প্রায় ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্তত, আগামি পাঁচ দিনে তাপমাত্রা একেবারেই কমবে না। যদি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির দরুন বঙ্গোপসাগরের উচ্চ চাপ বলয়টি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে উনিশ বা কুড়ি তারিখের পর আরেকটা ছোট শীতের স্পেল পাওয়ার সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত সেই দিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। উচ্চচাপ বলয় সম্পূর্ণ নষ্ট না হলে বঙ্গে এবছরের মতো শীতের স্পেল অধরাই থেকে যাবে।

তবে উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ ও উপকূলের জেলাগুলিতে রবিবার ও সোমবার ভোরবেলার দিকে দৃশ্যমানতা প্রায় ২০০ মিটারের কাছাকাছি নেমে যাবে। মকর স্নানের সময় রবিবার গঙ্গাসাগর সহ গাঙ্গেয় উপকূলের দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-
‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ’ স্কিমটি ‘প্রচারের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে রাজ্য সরকার, মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
বিরোধীদের দাবি ধোপে টিকবে না: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিশ্চয়তা দিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর
দুটি নয়, আপাতত বিজেপির একটি জনসভাতেই অংশ নিচ্ছেন জেপি নাড্ডা, ১৯ জানুয়ারি তাঁর বঙ্গ সফর

Share this article
click me!