বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখান পথেই এগিয়ে যেতে হবে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে 'শিক্ষার মন্দির'হিসেবে বর্ণনা করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন পড়ুয়াদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মানবতাবাদী গওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন এখনও ভারতীয় সমাজকে প্রভাবিত করে চলেছে। '
রাজনাথ সিং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সভাপতিত্ব করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলার দুটি তীর্থক্ষেত্র - একটি গঙ্গাসাগর, অন্যটি অবশ্যই বিশ্বভারতী। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দেখিয়েছিলেন, যে আমাদের জাতীয়তাবাদ আঞ্চলিক হতে পারে না। এটি আমাদের বহুত্ববাদী সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করেই তৈরি। শিশুদের মধ্যে মানবতার মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য তিনি শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেও জানিয়েছেন রাজনাথ সিং। রাজনাথ সিং আরও বলেন, ভারতের জাতীয়তাবাজ সর্বজনীন, সর্বজনীন কল্যাণদ্বারা অনুপ্রাণিত। বিশ্বভারতী এই অনুভূতির একটি সূচক।
ভারতকে আরও শক্তিশালী ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে নতুন ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি তরুণদের উদ্ভাবন , নতুন কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ,স্টার্টআপ স্থাপনের আহ্বান জানান। বিভ্রান্ত না হয়ে ভারসাম্য বজায় রাখে এগিয়ে যাওয়ারই হল সাফল্যে চাবিকাঠি। তিনি শিক্ষার্থীদের অহংকার আর হিংসার পথ ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি চরিত্র গঠণ, জ্ঞাণ, সম্পদকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনি যত শক্তিশালী হবেন আমাদের দেশ ততই শক্তিশালী হবে।' এদিন তিনি নতুন শিক্ষানীতি তরুণদের সামগ্রিক বিকাশের দিকে নিয়ে যাবে বলেও জোর দিয়ে বলেন। তিনি আরও বলেন নতুন শিক্ষানীতি রবীন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে। শিশুকে লালন পালন ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য বিশ্বভারতীর মুক্তপরিবেশের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি পড়ুয়াদের রবীন্দ্রনাথের পথ অবলম্বন করে চলার কথা
বলেন।
এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজনাথ সিং সমাজ সংস্কারক গোপাল কৃষ্ণ গোখেলের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, 'বাংলা আজ যা ভাবে ভারত আগামিকাল তা ভাবে।' তিনি আরও বলেন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিদের মত সেক্টরে পুনর্জাগরণের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন রবি ঠাকুর সামাজিক সংস্কার আর নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন।