রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদী ও মমতার

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই ছেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২৯ জানুয়ারি মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছিল।

 

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রতায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫। মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে রাত ৮টা ১৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই ছেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২৯ জানুয়ারি মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত সেপটিসেমিয়া আক্রান্ত হন। শ্বাসকষ্টও ছিল। তিন মার্চ শারীরিক অবস্থার অবণতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু বিফল করে তিনি প্রয়াত হন। চিকিৎসকরা জানিয়েছে তাঁর কিডনিতেও সমস্যা ছিল।

Latest Videos

সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থাকার সময়ই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বামীজির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, 'স্বামী স্মরণানন্দ জি মহারাজ, রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের শ্রদ্ধেয় সভাপতি আধ্যাত্মিকতা এবং সেবায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অগণিত হৃদয় ও মননে অমলিন ছাপ রেখে গেছেন। তাঁর সহানুভূতি ও প্রজ্ঞা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।'

 

 

শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, 'রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শ্রদ্ধেয় সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের আজ রাতে মৃত্যু সংবাদে গভীরভাবে শোকাহত। এই মহান সন্ন্যাসী তাঁর জীবদ্দশায় রামকৃষ্ণদের বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের জন্য সান্ত্বনার উৎস হয়ে আছেন।আমি তাঁর সমস্ত সহযাত্রী সন্ন্যাসী, অনুগামী ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।'

 

 

১৯২৯ সালের তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। ছোটবেলায় মাতৃহারা হন। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পড়া শেষ করে নাসিকে বাণিজ্য বিভাগে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৯ৃ৪৯ সালে মুম্বইতেযান। সেখানেই রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মিশনে যোগদান করেন। ১৯৫২ বাসে ২২ বছরে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে দীক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য নেন। ১৯৫৮ সালে কলকাতায় আসেন। ১৯৮৩ সালে মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন। ১৯৯১ সাবে চেন্নাই রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধানের দায়িত্ব নেন। তিনি ১৮ বছর আদ্বৈত আশ্রমের একাধিক শাখার দায়িত্বে ছিলেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু! তার আগেই বিরোধীদের কড়া বার্তা PM Modi | Parliament Winter Session 2024
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
Sukhendu Sekhar কী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে? জল্পনা উস্কে যা বললেন Agnimitra Paul
দেবের সামনেই! ঘাটালে TMC-র শত্রু TMC! Dev ও শঙ্কর অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি | Ghatal | Dev |