চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে অবশ্য বেঞ্চ এখনো কিছু বলেনি। যদিও একক বেঞ্চের রায় সম্পূর্ণ রূপে বাতিল করা হয়নি। চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল থাকছে।
সম্প্রতি ওএমআর শিটের কারচুপির অভিযোগে গ্রুপ ডি পদে বাতিল হয়েছে ১,৯১১ জনের চাকরি। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি বেতনের অর্থ ফেরত দেওয়ারও নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশ বেঞ্চ। চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে অবশ্য বেঞ্চ এখনো কিছু বলেনি। যদিও একক বেঞ্চের রায় সম্পূর্ণ রূপে বাতিল করা হয়নি। চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল থাকছে।
একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। শ্রম দেওয়া সত্ত্বেও কেন বেতন ফেরাতে হবে? এই দাবি তুলে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রুপ ডি-এর কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে স্থগিতাদেশ।
সম্প্রতি গ্রুপ-ডি পদে চাকরি গেল ১,৯১১ জনের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অবিলম্বে এই চাকরি প্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল কমিশন। এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিল কমিশন। বিচারপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না। শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর আইনজীবী নিজে মুখেই স্বীকার করেন যে ১,৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি প্রার্থীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, আদালতকে তাও জানান আইনজীবী। কমিশনের দেওয়া তথ্য যাচাই করার পর ওই সব প্রার্থীর চাকরির জন্য যে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল তা হলফনামা দিয়ে স্বীকার করা হয়।
শুক্রমার এই তথ্য সামনে আসার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রার্থীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। আইন মেনে এসএসসিকে অবিলম্বে ওই প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল আদালত। শুধু তাই নয় তৎকালীন এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নিল আদালত। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করার পাশাপাশি কাদের কথায় এত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে অবিলম্বে তাঁদের নাম জানাতে নির্দেশ দিল আদালত। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ২৫ জনের নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এই মামলার সূত্রপাত হয়েছে। কমিশন আদালতে জানিয়েছিল, তাঁরা ওই ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ করেনি। তাহলে কীভাবে এই নিয়োগ সুপারিশ ছাড়া করা হয়েছে। কীভাবে ওই ২৫ জন দুই বছর ধরে চাকরি করছে, প্রশ্ন উঠে এসেছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন -
সাংসদ-তারকা নুসরতের সঙ্গে বড়পর্দায় 'শিকার' করতে ফিরছেন যশ, সঙ্গী টলি নায়িকা ঋতুপর্ণা
'প্রয়োজনে প্রাসাদের অংশ বিক্রি করে বিজেপি বিধায়কদের কিনব', ভোটের দিন হুংকার প্রদ্যোত দেববর্মার