নবান্নে জুনিয়র ডাক্তার-মুখ্যমন্ত্রী মমতার বৈঠকে চলছে স্নায়ুর লড়াই, আজ কি খুলবে জট

Published : Oct 21, 2024, 07:02 PM IST
Nabanna Junior Doctor  Mamata Banerjee meeting  45 minutes allotted by Chief Secretary continues bsm

সংক্ষিপ্ত

সোমবার নির্ধারিত সময় নবান্নে চলে যায় জুনিয়র ডাক্তারদের ১৫ জন প্রতিনিধি। তাঁদের সাড়ে চারটের মধ্যেই নবান্নে যেতে বলেছিলেন মুখ্যসচিব। ৫টা নাগার তাঁরা নবান্ন সভাঘরে প্রবেশ করেন। 

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের বৈঠক চলছে। কিন্তু মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের দেওয়া ৪৫ মিনিট সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। তারপরও আলোচনা চলছে। চলছে তীব্র স্নায়ুযুদ্ধ। একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা- কেউই এক ইচ্ছি জমি ছাড়তে নারাজ। প্রশ্ন, এদিনের আলোচনার পর জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কিনা!

সোমবার নির্ধারিত সময় নবান্নে চলে যায় জুনিয়র ডাক্তারদের ১৫ জন প্রতিনিধি। তাঁদের সাড়ে চারটের মধ্যেই নবান্নে যেতে বলেছিলেন মুখ্যসচিব। ৫টা নাগার তাঁরা নবান্ন সভাঘরে প্রবেশ করেন। সেখানেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের ১০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানেয়ই মমতা স্পষ্ট করে জনিয়ে দেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকার কী করে কাজ করবে। যদিও পাল্টা আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অনিকেত মাহাত বলেন, ক্যাম্পাসের সুস্থ পরিবেশ প্রত্যেক ছাত্রের জন্যই জরুরি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের চাপে রাখতে সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের আইনজীবী থেকে শুরু করে আন্দোলনের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে মহিলা আইনজীবী বলেছেন, রাজ্যের সরকরি হসপাতালে তুলো পাওয়া যায় না! কিন্তু এই কথা ঠিক নয় বলেও জানিয়ে দেন মমতা। তিনি আরও বলেন, এই কথার পরই তিনি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি আরও বলেন,জুনিয়র ডাক্তারদের স্ট্রাইকের জন্য রাজ্যের প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জনগনের টাকা অন্যত্র চলে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'রং জানার দরকার নেই। পরিচয় জানার দরকার নেই। যদিও সব জানি। ৫৬০ জন আন্দোলন চলার সময় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করে টাকা নিয়েছেন।'

এদিনের আলোচনায় জুনিয়র ডাক্তাররা টাস্ক ফোর্স গঠন করার দাবি জানান। আন্দোলনকারী দেবাশিস হালদার বলেন, 'টাস্ক ফোর্সে কতজন সদস্য রয়েছে তারা কিছুই জানেন না। সব টাস্ক ফোর্সে মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি থাকা জরুরি। 'স্টেট টাস্ক ফোর্সের মতো কলেজেও কমিটি গড়ার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

৩৫ বছরের যুবকের সঙ্গে নাবলিকার বিয়ের তোড়জোড়, পরিবারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে থানায় কনে
Samik Bhattacharya: SIR-এর ফর্ম জমা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কী প্রতিক্রিয়া শমীকের?