গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনাই হয়নি। পরপর চার বার শুনানি পিছিয়ে অবশেষে ২১ মার্চ মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
পঞ্চমবারেও পিছিয়ে গেল শুনানি। মঙ্গলবারেও ডিএ মামলায় রায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ১৫ মার্চ ডিএ মামলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনও পিছিয়ে যায় রায়দান। আজ ২১ মার্চ ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে ডিএ মামলায় আগামী শুনানি হবে এপ্রিলে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনাই হয়নি। পরপর চার বার শুনানি পিছিয়ে অবশেষে ২১ মার্চ মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারও হল না শুনানি। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১১ এপ্রিল হবে এই মামলার শুনানি।
প্রসঙ্গত বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে সরব সরকারি কর্মীরা। শহিদ মিনারের নীচে চলছে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি। গত শনিবারই শনিবার ৫১ দিনে পড়ল ডিএ ধর্নামঞ্চের অবস্থান। ৩৭ দিনে পড়ল অনশন-আন্দোলন। শনিবার অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয় পড়লেন আরও এক অনশনকারী। বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে আজ ৫১ দিন ধরে শহীদ মিনারের নীচে চলছে অবস্থান আন্দোলন। চলছে অনশনও। শনিবার ধর্নামঞ্চেই অসুস্থ হয় পড়লেন সমরেন্দ্রনাথ রায় নামের এক অনশনকারী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শনিবার দিনভর শহিদ মিনারের নীচে অনশনে বসলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এদিন সকাল ১০টা থেকে রাজ্যজুড়ে চলে গণ অনশন কর্মসূচি। পাশাপাশি আজ থেকেই ডিজিটাল স্ট্রাইকও ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের বাইরে ব্যক্তিগত মোবাইল বা ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করবেন না তাঁরা। এই ডিজিটাল স্ট্রাইকের কথা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলন আরও জোড়দার করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন আন্দোলনকারীরা। ডিএ মামলায় পেন ডাউন কর্মসূচি এবং ধর্মঘটের পর এবার 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটলেন বিক্ষোভকারীরা। গত ১০ মার্চ ডিএ-এর দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরোতি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই সরকারি কাজকর্মে পড়েনি। ডিএ-এর পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের দাবিও ছিল তাঁদের। এবার সেই সব দাবি নিয়ে 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু কী এই 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অফিস টাইমের পরও হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ সহ এই ধরনের সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতে কাজের ফরমাইশ করা হয়। বিভিন্ন প্রকল্প ও নানা কাজের জন্য অফিসের বরাদ্দ সময়ের বাইরেও আমাদের কাজ করতে হয়। এবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই ধরনের গ্রুপে আসা কাজ আমরা আর করব না। এই ধরনের দাবি দাওয়া আর মেটানো হবে না।