ভাঙড়ে ঢুকতে পারবেন নওশাদ সিদ্দিকি, তুলে নেওয়া হয়েছে ১৪৪ ধারা- কলকাতা হাইকোর্টে জানাল রাজ্য

Published : Jul 31, 2023, 03:13 PM IST
CALCUTTA HIGH COURT

সংক্ষিপ্ত

ঞ্চায়েত ভোট পর্বের শুরু থেকেই হিংসাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত ভোট-হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ভাঙড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। 

সোমবার ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এই কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। নিজের নির্বাচনী এলাকায় রাজ্য সরকার ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এই কথা জানিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি নওশাদ সিদ্দিকির দায়ের করা মামলার আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

পঞ্চায়েত ভোট পর্বের শুরু থেকেই হিংসাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত ভোট-হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ভাঙড়ে। ভোট পর্বেই ভাঙড়ে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই দুবার ভাঙড়ে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে ভাঙড়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি গত ১২ ও ১৭ জুলাই। তারপরই নওশাদ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এদিন সেই মামলার শুনানি হয় বিচাপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। সেখানেই রাজ্য সরকার একই সঙ্গে জানিয়ে দেয়, এখন থেকে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে আর ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে না।

'বুদ্ধবাবুর মত সৎ রাজনীতিবিদ রাজ্যে রেয়ার', প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে শুভেন্দু অধিকারী

যদিও নওশাদ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা তোলার আর্জি নিয়ে। অন্যদিকে ভাঙড়ের তৃণমূলের নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা সম্প্রতি বিধানসভায় ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা তোলার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এখন ভাঙড়ের পরিস্থিতি শান্ত, আর ১৪৪ ধারার প্রয়োজন নেই। সেই কারণে তুলে নেওয়া হোক ১৪৪ ধারা। তিনি ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বেও রয়েছেন।

ঢাকুরিয়ায় ধুন্ধুমার, মদের দোকানে ক্রেতা নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ কর্মচারীর বিরুদ্ধে

টমেটো বেচে কোটিপতি অন্ধ্রের কৃষক, মাত্র ৪৫ দিনে আয় করেছেন ৪ কোটি টাকা

পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের দিনও নতুন করে সংঘর্ষ হয়েছিল ভাঙড়। মঙ্গলবার রাত ১২টারও পরে নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীরা। একের পর এক বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাল্টা পুলিশও বরার বুলেট চালায়। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে আইএসএফ কর্মীরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভোট গণনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। স্থানীয় আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুন জানিয়েছেন, জেলা পরিষদে তাদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের সময় তাঁকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হয়। বিডিও জানান ৩৬০ ভোটে হেরে গেছেন তিনি। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ প্রশাসনের তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। তাতেই জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। এই ঘটনার পর থেকেই গণনাকেন্দ্রে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আইএসএফরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়ে। সেই ঘটনায় তিন আইএসএফ কর্মী -সহ এক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিল বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। তারপরই জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Babri Masjid : বাবরি মসজিদ তৈরির আগেই কোটি কোটি টাকা! ১১টি ট্রাঙ্ক ভর্তি অনুদান গুনছেন ৩০ জন
Dilip Ghosh: ‘বাবরের নামে কোনও মসজিদ হবে না!’ সরাসরি হুমায়ুনকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের