স্রোতস্বিনীর ধ্বংসলীলায় রীতিমতো দুরমুশ হয়ে গিয়েছে আশপাশের এলাকা। ঘটনার জেরে সৈল শহরে আটকে পরেছে বহু পর্যটক৷
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম৷ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তিস্তার জলস্রোত। স্রোতস্বিনীর ধ্বংসলীলায় রীতিমতো দুরমুশ হয়ে গিয়েছে আশপাশের এলাকা। ঘটনার জেরে সৈল শহরে আটকে পরেছে বহু পর্যটক৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি ঠিক কতজন পর্যটক আটকে রয়েছেন পাহাড়ে। পুজোর মুখে জমজমাট থাকে পাহাড়। এই সময় আচমকা আবহাওয়ার এই বিরুপতায় বিপর্যস্ত গোটা এলাকা৷ অন্যদিকে জাতীয় সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকায় আপাতত বাড়ি ফেরার পথও বন্ধ পর্যটকদের কাছে।
পুজোর মুখে ভরা মরশুমে জমজমাট সিকিম। ভর্তি অতিথি নিবাস থেকে সাধারণ হোটেল। বাংলার বাইরে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ সিকিমে বেড়াতে আসেন। তবে এবার সৌন্দর্যের ভয়ঙ্কর রূপ দেখল সিকিম। হরপা বানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সিকিমের একাধিক অংশ। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা জায়নি। এমনকি হিসেব নেই আটকে থাকা পর্যটকেরও৷ ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল ছুটির ঘোষণা পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গনে। স্কুল বন্ধের নির্দেশ শিলিগুড়িতেও।
লাচেন উপত্যকায় তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা এসে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও পর্যন্ত ২৩ জন সেনা -জওয়ান ভেসে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। চুংথাং বাঁধ থেকে জল বেরিয়ে আসায় আচমকা জলের স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে গেছে।
জলের তোড়ে সিংটমের কাছে বারডাং-এ পার্ক করা সেনাবাহিনীর গাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন ভারতীয় জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কিছু যানবাহন প্রবল জলের গ্রাসে চলে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তল্লাশি অভিযান শুরু করা হলেও ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই অভিযান অত্যন্ত প্রতিকূল হয়ে পড়েছে।