জানুয়ারিতেই বকেয়া ডিএ? মহার্ঘ ভাতা আদায়ে কাল থেকে বড় কাজ রাজ্যের সরকরি কর্মীদের

জানুয়ারি মাসেই কি পাওয়া যাবে বকেয়া ডিএ- এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সরকারি কর্মীরা। কারণ আগামিকাল অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর থেকেই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতৃত্বে বড় আন্দোলনের পথে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর বেলা ৩টে থেকে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত নবান্নের অদূরে মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ডে ধর্নায় বসতে পারেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

কলাকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ধর্নাস্থলে রাতের বেলায় মহিলাদের রাখা যাবে না। ধর্নাস্থলে সর্বোচ্চ ৪৫০ জন উপস্থিত থাকলে পারেন। কর্মসূচি শেষে ১০ জনের প্রতিনিধি দল মুখ্যসচিবকে বা অন্য কোনও আধিকারিককে ডেপুটেশন জমা দিতে পারবে।

ডিএ আদায়, শূন্যপদে নিয়োগ- সপ্তম বেতন কমিশন-সহ একাধিক দাবিতে বছর শেষে বড় আন্দোলনের পথে সরকারি কর্মীরা। যা শুরু হচ্ছে কাল, রবিবার থেকেই।

২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর - তিন দিন ব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরাও। ২৭ ডিসেম্বর মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে শুরু করে মিছিল শহীদ মিনার পর্যন্ত মিছিলের পরেও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।

অন্যদিকে নতুন বছরের প্রথম দিকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা উঠতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেও সবপক্ষের বক্তব্য শোনার কথা। যাই নতুন বছরের প্রথম মাসেই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে এখনও আশা করেছেন সরকারি কর্মীরা।

২০২৩ সালে ২১ ডিসেম্বর বড়দিনের অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কারণে এবারও রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ-র আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু এবার কোনও ঘোষণা করেননি মমতা।

রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩৯ শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে। বয়েক ডিএ দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন চলছে।

রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন পান। দীর্ঘ দিন ধরেই সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

দীর্ঘ দিন ধরেই ডিএ নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এই অবস্থায় বছর শেষে ডিএ আদায়ে বড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।