চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি আর ক্রেসের ব্যবস্থা নিয়ে সুখবর শোনালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পিএফ এর দাবিতে আন্দোলন বলে বলেও হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার।
চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়তে পারে। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তেমনই আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে সভা হয়েছিল। সেখানেই তিনি চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন। তিনি সভায় জানিয়েছেন, তিনি বলেছিলেন,ফাঁসিদেওয়া, নকশালবা়ড়ি, জলপাইগুড়িতে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৩২ টাকা করতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহেই শিলিগুড়িতে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই চা মালিক, চা শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমমন্ত্রী থাকবে। সেই বৈঠকের পরেই চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বাড়তে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের চা শ্রমিকরা সুখবর পেতে পারেন।
শুধু মজুরি বৃদ্ধি নয়। এদিনের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের চা শ্রমিকদের পিএফ-এর দাবিতেও সরব হন। তিনি বলেন পিএফ - চা শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের দাবি। কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি। পিএম- বিষয়টি কেন্দ্রের, এখানে রাজ্যের কোনও হাত নেই। তিনি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পিএম নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু চা শ্রমিকদের পিএফ নিয়েও আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন দলের ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের। তিনি বলেছেন জলপাইগুড়ি পিএফ অফিসে একটি ডেপুটেশন দিতে হবে । তারপর দুই মাস সময় দেওয়া হবে। কিন্তু তাতে যদি কোনও কাজ না হয় জুন মাসে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ৫০ হাজার লোক নিয়ে জলপাইগুড়ির পিএফ অফিস ঘেরাও করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন দুই মাস পরে আবারও উত্তরবঙ্গে যাবেন তিনি।
এদিনের সভা থেকে মহিলা চা শ্রমিকদের ক্রেস নিয়ে বড় আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, দুই দিন আগেই তিনি এই বিষয় নিয়ে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বসেছেন ৭১টি ক্রেস ও ৪২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজ চলছে। পুজোর মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হবে। অর্থাৎ পুজোর সময় থেকেই মহিলা চা শ্রমিকরা শিশুদের ক্রেসে রেখে নিশ্চিন্তে চা বাগানের কাজে যেতে পারবেন।
অভিষেক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে তিনি ও তৃণমূলের ২৪ জন সাংসদ ৫ এপ্রিল দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি আরও বলেন আলিপুরদুয়ারের মানুষ বিজেপিকে লোকসভা ও বিধানসভা বিপুল ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এই বিজেপি সাংসদরাও স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে রাখা টাকার জন্য কোনও তদবির করছে না। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন বলেন বিজেপি নেতা বা বিরোধী দলনেতা কথায় কথায় কেন্দ্রকে বাংলার মানুষের হকের টাকা আটকে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে। রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে সমস্যায় ফেলছে বিজেপির। দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি আরও বলেন ২০২১ সালে তৃণমূলের কাছে হেরে গিয়ে কার্যত বিজেপি প্রতিশোধের রাজনীতি করার জন্য টাকা আটকে রেখেছে।