একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পরেও আসছে মাত্রা ছাড়া বিল! মাথায় হাত রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রাহকদের। এ রাজ্যে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের দাম।
একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পরেও আসছে মাত্রা ছাড়া বিল! মাথায় হাত রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রাহকদের। এ রাজ্যে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের দাম। ভোটের মরশুমে চুপিসারে কমান হয়েছে স্ল্যাব। বিদ্যুতের স্ল্যাব কমিয়ে তিন গুণ মাশুল ধার্য করা হয়েছে। এর ফলে এই রাজ্যে বিদ্যুতের দাম বেড়ে হয়েছে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ।
অর্থাৎ ইউনিটের দাম না বাড়িয়ে হঠাৎ করে ব্যবহারের স্তরের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে বিদ্যুতের বিল বেশি আদায় করা হচ্ছে। নবান্নের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ইলেকটোরাল বন্ডে ৪৪৪ কোটি টাকা 'চাঁদা' দিয়েছে সিইএসসি'র মালিক। বিনিময়ে বৃহত্তর কলকাতায় বিদ্যুতের বিল বেড়েই চলেছে সিইএসসি'র সৌজন্যে। অথচ কয়লার দাম কমেছে প্রচুর, জিএসটি'ও প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই সিইএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (ডব্লিউবিএসইডিসিএল) স্ল্যাব চেঞ্জের কায়দায় গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে বিদ্যুৎ মাশুল আদায় শুরু করেছে বলে অভিযোগ।
দেখা গিয়েছে যে, গ্রামীণ ডোমেস্টিকে প্রতি ৩০০ ইউনিটের জন্য তিন মাসের বিল ট্যারিফ অনুযায়ী আসার কথা ১৬৯৯.৫০ টাকা। স্ল্যাব পরিবর্তনের ফলে সেই জায়গায় বিল ১৯৫৯.০৩ টাকা! তেমনই ২৫০ ইউনিট উঠলে বিল আসার কথা যদি হয় ১৫৬৩ টাকা, স্ল্যাব পরিবর্তনে বিল ১৭৪৮ টাকা!
এমনই একটি বিদ্যুৎ বিলে দেখা গিয়েছে, পুরানো হার (ওল্ড ট্যারিফ) অনুযায়ী প্রথম ৭৭ইউনিটের জন্য ৫ টাকা ৪ পয়সা করে, পরের ৫৮ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৩৩ পয়সা করে, তারপরের স্ল্যাব ৯০ ইউনিটের জন্য ৭ টাকা ১২ পয়সা করে মাশুলের হার ধার্য হওয়ার কথা রয়েছে।
এরপরের ২২৫ ইউনিটের জন্য ৭ টাকা ৫২ পয়সা করে এবং ১৯৬ ইউনিটের জন্য ৭ টাকা ৬৯ পয়সা ধার্য হবে। ওই বিলে ঠিক তার নিচেই লেখা রয়েছে নতুন হার (নিউ ট্যারিফ)। সেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনিট প্রতি চার্জ এক রেখে ইউনিটের পরিমাণ কেটে তিন ভাগের এক ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে! গ্রাহকদের অভিযোগ, ইউনিট কমিয়ে, চার্জ বাড়িয়ে এক ধাক্কায় ৩ গুণ বিদ্যুৎ মাশুল নেওয়া হচ্ছে এভাবে। অথচ তা জানতেই পারছেন না গ্রাহকরা।