দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি গরমের ছুটির মেয়াদ কমে আসতে পারে! কী বলছে সরকার।
ইতিমধ্যেই সব সরকারি স্কুল ও কিছু বেসরকারি স্কুলে পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। ৬ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত স্কুল ছুটির নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনই জানানো হয় পর্ষদ থেকে। তবে রাজ্যের পড়ুয়াদের তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই গরমে যাতে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ না হয়ে পড়ে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
সাধারণত ১২ দিনের ছুটি দেওয়া হয় কিন্তু এবার তা বেড়ে হয়েছে ২২ দিন। স্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীরা এইসময় ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তাই ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এবার মিলছে বড় খবর। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিদ্যালয়গুলিকে জানিয়েছেন, গরমের তীব্রতা যেহেতু এখনও কমেনি, তাই বিদ্যালয়গুলি যদি চায় তাহলে গরমের দীর্ঘ ছুটির সময়সীমা বহাল রাখতে পারে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২ মে থেকে ১১ মে অবধি সাময়িকভাবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি গরমের ছুটির মেয়াদ কমে আসতে পারে! কী বলছে সরকার।
বিশেষ সূত্রে খবর, বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও গরমের হাত থেকে এখনই নিস্তার পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ‘প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিনের’ হাত থেকে এখনই নিস্তার নেই। সেই কারণে মনে করা হচ্ছে এখনই গরমের ছুটি কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। গরমের ছুটি যেমন ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনটাই থাকবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
একদিকে গরমের তেজ, অন্যদিকে ভোট মূলত এই দুটি কারণেই এত লম্বা একটা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলেই অনেকের ধারণা। তবে আগামী কয়েক দিনেই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে বেশ কিছু জেলায়। সেই কারণেই গরমের ছুটি কমানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।