লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জন্য জনুয়ারি থেকে নয়া শর্ত লাগু, বার্ধক্য ভাতা আর বিধবা ভাতার টাকা আটকে গেলে এটা করতে হবে
রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর বার্ধক্য় ভাতা ও বিধবা ভাতাও জনপ্রিয় প্রকল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠনের পর এই দুটি প্রকল্পে সুবিধেভোগীর সংখ্যা বাড়িছেন। কিন্তু তিনটি প্রকল্পের জন্য মানতে হবে কয়েকটি নিয়ম।
বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমলে অনেকটা বেড়েছে। উপকৃতের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি টাকা পাওয়ার শর্ত অনেক সহজ হয়েছে।
বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতার গ্রাহক
বর্তমানে বার্ধক্য ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০৭ জন ও বিধবা ভাতার প্রাপকের সংখ্যা রয়েছে ৮৭ হাজার ৪০৯ জন। দুই প্রকল্পেই মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
টাকা নিয়ে সমস্যা
সম্প্রতি জানা যাচ্ছে অনেকেই দুই প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে ঢুকছে না। তবে তাদের জন্য চিন্তার কিছু নেই। কিছু তথ্য জমা করলেই সমস্যা দূর হবে।
কী কী তথ্য জমা দেবেন
জেলা প্রশাসনের কাছে আপনার লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে আসুন এছাড়া ব্যাংকে গিয়ে কেওয়াইসি জমা করুন। জানুয়ারি মাসে জমা দিলে চলতি মাসেই বকেয়া টাকা পেয়ে যেতে পারেন।
বিস্তারিত তথ্য জানতে
এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে BDO বা SDO অফিসে যেতে পারেন। সরকারি আধিকারিকরা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেবে কী কী করতে হবে আপনাকে।
জানুয়ারি থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়ম বদল
জানুয়ারি মাস থেকেই বদলে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নিয়। তাই চলতি মাসেই কতগুলি শর্ত পুরাণ করতে হবে। তাহলেই টাকার সমস্যা থাকবে না।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের শর্ত
জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট গ্রহণযোগ্য নয়, নাম আর ঠিকানা সঠিক দিতে হবে। আধার কার্ডের লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। উপজাতির শংসাপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
তিনটি মহিলা প্রকল্প
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতা ও বিধবা ভাতা- তিন প্রকল্পে সমস্ত তথ্য ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর যদি ঠিক থাকলে তাহলে টাকা পড়তে সমস্যা নেই।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতা
এবার থেকে যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধেভোগীদের নাম সরাসরি বার্ধক্য ভাতার খাতায় চলে যায় তারও ব্যবস্থা করছে সরকার।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকার মাসের ১৫ দিনের মধ্যে দিয়ে দেয়।