দীর্ঘ ৯ বছর পরে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতার পাশে দেখা গেল এক নতুন মুখ। যাঁকে দেখা গিয়েছিল পার্ক সার্কাসের ইফতার পার্টিতেও। ছিলেন মমতার পাশে। অনেকেই মনে করছেন নওশাদ সিদ্দিকী ও তাঁর দাদা আব্বাস সিদ্দিকীকে চাপে রাখতেই কাশেমই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাতিয়ার।
210
কাশেম সিদ্দিকী
কাশেম সিদ্দিকীও একজন পীরজাদা। তিনি ফুরফুরার বড়পীর আবু বখতার সিদ্দিকীর বংশধর। নওশাদ আর আব্বাসদের মতই। সেই সূত্রে তিনি নওশাদ আর আব্বাসের তুতোভাই।
310
একটা সময় মমতা বিরোধী
একটা সময় ছিল যখন কাশেম ঘোরোতর মমতা বিরোধী ছিলেন। মমতার বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি সিপিএম-এরও যথেষ্ট ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
410
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় আব্বাস সিদ্দিকীরা আইএসএফ গঠন করেছিল। কাশেম ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম। সেইসময় আব্বাস আর নওশাদের পাশে দেখা যেত কাশেম সিদ্দিকীকে। দুই তুতো ভাইয়ের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিলেন কাশেম সিদ্দিকী।
510
নওশাদের পাশে
২০২৩ সালে নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় পুলিশের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন কাশেম সিদ্দিকী। হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিলেও প্রথম সারিতে ছিলেন কাশেম সিদ্দিকী।
610
কাশেমের পাল্টি
বর্তমানে কাশেম সিদ্দিকীকে পরপর দুটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। একসময় তিনি যে মমতার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন এখন সেই মমতারই ঘনিষ্ট বৃত্তে রয়েছেন কাশেম। তাতেই অনেকের ধারনা ফুরফুরা শরিফে তৈরি হচ্ছে নতুন সমীকারণ।
710
ত্বহা সিদ্দিকী
ত্বহা সিদ্দিকী বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে তাঁর বয়স বেড়েছে। তাই ধার-ভার দুই কমেছে বলেও মনে করেন অনেকে। সেখানে নওশাদদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
810
ত্বহা সিদ্দিকীর পরিবর্তে কাশেম?
তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন ফুরফুরাতে এবার নতুন মুখ আনতে পরেন মমতা-অভিষেক। ত্বহার পরিবর্তে গুঞ্জন শুরু হয়েছে কাশেমকে নিয়ে। যদিও এখনও তেমন কোনও ঘোষণা হয়নি।
910
নওশাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী
নওশাদ ভাঙড়ের বিধায়ক। গত এক বছর ধরে তৃণমূলের গলার কাঁটা। তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন, নওশাদ কাঁটা তুলতে মমতা তারই বিরুদ্ধে প্রার্থী করতে চান ফুরফুরার কোনও পীরজাদাকে। সেক্ষেত্রে কাশেম সিদ্দিকী সঠিক নাম।
1010
কাশেম সিদ্দিকী মমতার তুরুপের তাস
তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন কাশেমকে সামনে এনে মমতা একদিকে যেমন নওশাদদের বার্তা দিতে চাইছেন, তেমনই ত্বহা সিদ্দিকীকেও সরিয়ে দিতে চাইছেন। যাতে আখরে লাভ হবে তৃণমূলেরই।