বাঙালির আপ্যায়নে মাছ-ভাত রাখছে ‘বন্দে ভারত’, বিশেষ সক্ষম যাত্রীদের হুইলচেয়ার ঢোকার জন্য চওড়া শৌচালয়

অন্যান্য রাজ্যের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তুলনায় বাংলায় থাকছে বিশেষ সুবিধা। বাঙালি যাত্রীদের কথা ভেবে মাছ ভাতের সঙ্গে রাখা হচ্ছে চিকেনও।

Web Desk - ANB | Published : Dec 28, 2022 11:27 AM IST

নতুন বছর শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে শুরু হচ্ছে বঙ্গের প্রথম ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এর যাত্রা। হাওড়া স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত যাতায়াত করার উদ্দেশ্যে সাধারণ যাত্রীদের জন্য কবে এর দরজা খুলবে, তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত করে জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। আশা করা হচ্ছে, এই যাত্রা সাধারণভাবে শুরু হবে নতুন বছরে গিয়েই।

রেল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছ'দিন চালানো হবে এই ট্রেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সেমি হাই স্পিডের ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-কে পূর্বের শতাব্দী এক্সপ্রেসের তুলনায় আরও এগিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই উদেশ্যে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে যাত্রার সময় অন্তত এক পিঠে চলার সময়সীমা আধ ঘন্টা কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে রেলের তরফে। এরপর আরও এক ঘন্টা সময় বাঁচানোর চেষ্টা করা হবে বলে রেল সূত্রে খবর। এই উদ্যোগে খানা থেকে গুমানি এবং মালদহ থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে ট্রেনের গতিবেগ কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

পশ্চিমবঙ্গে চালানো হচ্ছে বলে খাবারের তালিকায় বিশেষ বৈশিষ্ট্য রাখছে ‘বন্দে ভারত’। বাঙালিদের খাবারের রুচির কথা ভেবে এবার ঠাঁই পাচ্ছে আমিষ খাবারদাবারও। এর সাথে সাথে নববর্ষ বা দুর্গাপুজোর সময় আরও বিশেষ পদ যোগ করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রেল যাত্রার একেবারে শুরুতেই বিশেষ শ্রেণির যাত্রীদের জন্য থাকতে পারে ডাবের জলের আয়োজন। থাকবে চা এবং কফির ব্যবস্থাও। মেন কোর্সে রাখা হতে পারে বাসমতি চালের ভাত, ডাল, তরকারি, মাছের ঝোল, চিকেন এবং ফিশ ফ্রাই। খাবার ঠান্ডা বা গরম থাকার ব্যবস্থাও থাকবে ট্রেনের ভেতর।

প্রথম দু'টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তুলনায় বাংলারটিতে রেকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তার জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে। ট্রেনের ভেতর রয়েছে ১০৬টি সিসি ক্যামেরা। বসার আসন যথেষ্ট জায়গা নিয়ে থাকবে। প্রত্যেক যাত্রীর সিটের নীচে নিজস্ব মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট এবং বই পড়ার জন্য আলো রাখা হবে। সুবিধা অনুযায়ী খাবার বা জল গরম এবং ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থাও থাকছে। প্রতি কামরায় ৩২ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে সিস্টেম থাকবে। যাত্রাপথে কোনওরকম বিপত্তি ঘটলে যাত্রীরা সরাসরি কথা বলতে পারবেন ট্রেনের চালকের সঙ্গে, সেই উদ্যোগে রাখা হচ্ছে বিশেষ ‘টক ব্যাক’ ব্যবস্থা। বিমানের মতো ভ্যাকুয়াম শৌচাগারও থাকছে। বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য হুইলচেয়ার ঢোকার মতো বড় শৌচালয়ও থাকছে। ট্রেনের সামনে জ্বলবে লাল, সবুজ আলো। যাত্রাপথে পতাকার বদলে ওই আলোর সঙ্কেতেই স্টেশন পেরিয়ে যাবে ট্রেন।


আরও পড়ুন-
বন্ধ হবে গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, দেশের কোটি কোটি গরীব নাগরিকদের বাঁচাতে বিকল্প ভাবনা কেন্দ্র সরকারের
করোনার পরবর্তী ঢেউ আসার আগেই দেওয়া হোক চতুর্থ ভ্যাকসিন, বুস্টার ডোজের ওপর জোর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের 
মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ড, একের পর এক ভূকম্পনের প্রভাবে আতঙ্কিত উত্তর ভারত

Share this article
click me!