ছাত্র অসন্তোষের জের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত স্থগিত বার্ষিক সমাবর্তনের অনুষ্ঠান। উপাচার্যকে সরকারি বাসভবনের বাইরে বের হতে দিচ্ছে না আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
ছাত্র আন্দোলনের জের। বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ১১ ডিসেম্বরের বার্ষিক সমাবর্ত অনুষ্ঠন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাইরে আন্দোলনে বসেছে পড়ুয়ারা। তাঁকে তাঁর সরকারি বাসভবনের বাইরে বার হতে দেওয়া হচ্ছে না। আর সেই কারণে বার্ষিক সমাবর্তনের প্রস্তুতি তিনি নিতে পারছেন না। তাই পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যায়ের মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। কারণ গত দুই সপ্তাহ যাবৎ উপাচার্যকে তাঁর বাসভবন থেকে বের হতে দেয়নি আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। আর সেই কারণে ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা সমাবর্তন পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই মুখপাত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্ট। কিন্তু তার প্রস্তুতিতে থমকে গেছে। ছাত্রদের একটি বড় অংশই সরকারি বাসভবনের বাইরে অবস্থানে বসেছে। বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থী একটি সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ছাত্রদের দাবিগুলি হল- বহিরাগত পড়ুয়াদের জন্য অবিলম্বে হোস্টেলের ঘর বরাদ্দ করা, পিএইচডি-এমফিল স্কলারদের থিসিস একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূল্যায়ণ করতে হবে- এই দুটি দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর থেকেই সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যের সরকারি বাসভবন থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে বসে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে উপাচার্যকে তার ঘরের বাইরে বার হতেদেয়নি। তাঁর গাড়িও আটকে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বুধবার ক্যাম্পাসে একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিল। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে বার্ষিক পৌষ মেলার আয়োজন। কারণ কোভিড-১৯এর কারণ গত দুই বছর পৌষ মেলা হয়নি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের অফিস - আধিকারিক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ সমাবর্তন স্থগিত করার ঘোষণা করে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ ছাত্রদের এই বিষয়টি সরাসরি জানান হয়নি।