পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় প্রায় সবাই ভেবেছিলেন যে হয়ত পৌষমেলা হতে চলেছে। সে আশায় জল ঢেলে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আগে জানানো হয়েছিল ছোট করে হলেও পৌষমেলা হবে। সেই আশাতেই বুক বেঁধেছিলেন আশ্রমিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে জানা গিয়েছে এই বছর আর পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হবে না। যদিও আগের বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল যে, এ বার পূর্বপল্লির মাঠে ছোট আকারে পৌষমেলা হবে। পরিবেশ আদালতের দূষণবিধি মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বস্তুত, ২০১৯ সালে করোনা আবহে এবং পরের দু’বছর বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী ওই মেলা বন্ধ রাখে বিশ্বভারতী।
তাই এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় প্রায় সবাই ভেবেছিলেন যে হয়ত পৌষমেলা হতে চলেছে। সে আশায় জল ঢেলে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যুক্তি দেওয়া হয়, কী ভাবে ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে মেলায় এলে তাদের ফেরাবেন? উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর পৌষমেলার আয়োজনের ভার থাকে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উপর। মেলার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তাই দু’পক্ষের দু’রকম মতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সোমবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক এবং অন্যান্য কয়েক জন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যসদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে, এ বছর আর পৌষমেলা করা সম্ভব নয়।
সোমবার কর্মসমিতির দীর্ঘ বৈঠকের পর এই খবর জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। একটি যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ছোট করেও ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। জেনে রাখা ভালো যে বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা আয়োজন করা হয় বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফে। তবে মেলার তত্ত্বাবধানে থাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে পৌষ মেলা করতে হলে দুপক্ষের মধ্যেই সামঞ্জস্য থাকা জরুরি।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন ২০১৯ সালে শেষ বার পূর্বপল্লি মাঠে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। সে বছর পরিবেশ আদালতের দূষণবিধি না মানায় জরিমানা হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। এর পর থেকে পৌষমেলাই বন্ধ করে দেন তৎকালীন উপাচার্য।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।