রাজ্যের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছে কর্মী সমাজ এই ডিএ 'ভিক্ষা দেওয়ার মতো' বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। এমনকী এই ঘোষণাকে প্রত্যাখান করার কথাও বলেছেন তাঁরা।
বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনের মাঝেই এবার আরও তিন শতাংশ মহার্ঘভাতার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এদিকে ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে আরও চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করায় কেন্দ্রের ডিএ দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ-এ। সেখানে মাত্র তিন শতাং ডিএ বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকারের ডিএ দাঁড়াল ৬ শতাংশে। রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় ক্ষোভ প্রশমিত তো হলই না বরং আরও বাড়ল ক্ষোভ। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছে কর্মী সমাজ এই ডিএ 'ভিক্ষা দেওয়ার মতো' বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। এমনকী এই ঘোষণাকে প্রত্যাখান করার কথাও বলেছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে এশিয়ানেট নিজের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা স্পষ্টই জানিয়েছেন আন্দোলন চলবে।
ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র তফাত এখন ৩৫ শতাংশ। দিনে দিনে বাড়ছে এই তফাত। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে পেন ডাউনের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই আবহে জানুয়ারি থেকে যে ডিএ দেওয়া যেত মার্চ মাসে এসে তা মাত্র তিন শতাং বৃদ্ধি করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন জানিয়েছেন,'আমরা রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই। এই ডিএ ভিক্ষার সামিল বলে মনে করি। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা হবে ততক্ষণ আমরা মানছি না।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন,'আমরা মনে করি রাজ্য সরকার আন্দোলনে ভয় পেয়েছে। সেই কারণেই এই তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে।'
বকেয়া ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করার ঘোষণাও করেছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজ রাজ্য বাজেটে নতুন করে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার পরও নিজেদের দাবিতেই অনর থাকছেন কর্মীরা। এমনকী দাবি পূরণ না হলে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গেত এই মর্মে কনফেডারেশ অফ স্টেট গভরমেন্ট এমপ্লইজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন রাজ্য সরকার কোন হিসেবে এই ডিএ দিলেন তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইজ ইন্ডেক্সের নিয়মের সঙ্গেও মিলছে না রাজ্য সরকারের হিসেব। পাশাপাশি এত বছর পরে মাত্র ৬ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে রাজ্যের ডি-এর তফাত। কেন্দ্র যেখানে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিল সেখানে ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাস কোনও বর্ধিত ডিএ পেল না রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ডিএ-এর তফাত নিয়েও অষন্তোস প্রকাশ করলেন তিনি। এই ডিএ একরকমের 'ভিক্ষা দেওয়ার মতো' বলেও উল্লেখ ক্রেন তিনি। সেই সঙ্গে বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলন যেমন চলছিল তেমনই চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন -
আরও তিন শতাংশ মহার্ঘভাতার ঘোষণা রাজ্য সরকারের, মমতার 'উপহারে' কতটা খুশি রাজ্যের সরকারি কর্মীরা?
'কর্মসংস্থানমুখী বাজেট, সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের স্বার্থের বাজেট' - প্রশংসা মমতার