দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কেরোসিনের বরাদ্দ বন্ধ কেন্দ্রের, পশ্চিমবঙ্গ কী পাচ্ছে?
২০২৫ সালে এসেও জ্বালানির জন্য ভারতীয়দের অনেকেই কেরোসিনের উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেরোসিনের ব্যবহার এখনও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেরোসিনের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার
দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কেরোসিনের বরাদ্দ পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেরোসিন সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এখনও অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৯টি রাজ্যের রেশন গ্রাহকরা কেরোসিনের বরাদ্দ পেয়ে আসছেন
এখনও সারা দেশে ১৯ টি রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের কেরোসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গ।
দেশের যে রাজ্যগুলি এখনও কেরোসিন পাচ্ছে তাদের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে
গত বছর পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করা হয়। দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যের জন্যও কেরোসিনের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইংরাজি নতুন বছরের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ কমানো হয়েছে
নতুন ইংরাজি বছরের প্রথম তিন মাসে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৫৮ হাজার ৯৬৮ কিলোলিটার কেরোসিন বরাদ্দ করেছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। অতীতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার।
বরাদ্দ অনেক কমানো হলেও, সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেরোসিন পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ
সারা দেশের মোট বরাদ্দের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কেরোসিন পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এক্ষেত্রে বাংলার পরেই আছে বিহার।
নতুন ইংরাজি বছরের প্রথম তিন মাসের জন্য সারা দেশে ৮৫ হাজার ৮৮৪ কিলোলিটার কেরোসিন বরাদ্দ
২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সারা দেশের জন্য মোট ৮৫ হাজার ৮৮৪ কিলোলিটার কেরোসিন বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর সিংহভাগ পাচ্ছে বাংলা। বিহার পাচ্ছে ৬ হাজার ৩৮৪ কিলোলিটার কেরোসিন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারেই বাংলাকে বেশি কেরোসিন দিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র
কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কেরোসিন বরাদ্দ করতে হবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রককে। এই কারণেই বাংলাকে বেশি কেরোসিন দিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গে কেরোসিন বরাদ্দের জন্য নির্দিষ্ট নীতি তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করতে হবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রককে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কেরোসিনের কোটা ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, রাজি হয়নি পশ্চিমবঙ্গ
দেশের অনেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরোধ মেনে কেরোসিনের কোটা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেরোসিনের বরাদ্দ কমাতে রাজি হয়নি।
কেরোসিনের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশেই চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে
কেরোসিনের দাম এখন অনেকটাই বেশি। ফলে সাধারণ মানুষ কেরোসিনের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন বা বন্ধ করে দিয়েছেন।