কোচবিহারের পাশাপাশি সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কোন কোন শিক্ষক শুক্রবার স্কুলে কাজে যোগ দিতে আসেননি, তার তালিকা প্রস্তুত করছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
১০ মার্চ, শুক্রবার ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে বেশ কিছু জেলায় বহু বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে ছিল। কয়েকটি জায়গায় তুলনায় শিক্ষক শিক্ষিকা যথেষ্ট কম এসেছিলেন। শুক্রবার সকাল অভিযোগ এসেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরে। নবান্নের তরফে বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয় বিকেল পাঁচটার মধ্যে কারা কারা অনুপস্থিত রয়েছেন, তাঁদের তালিকা পাঠাতে। স্কুল শিক্ষা দফতর ও অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করতে বলে বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। সেই তালিকায় ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে।
সূত্রের খবর প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা অনুপস্থিত ছিলেন গোটা রাজ্যজুড়ে শুক্রবার। অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নামের তালিকাও ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর জেলাভিত্তিক সেই তালিকা তৈরি করতে গিয়ে দেখা গেছে কোচবিহার জেলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুপস্থিত থাকার সংখ্যা সব থেকে বেশি। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও লক্ষণীয়ভাবে অনুপস্থিতির হার বেশি। অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ হবে তা নিয়ে নবান্নের মতামত রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর চেয়েছে বলেই এই সূত্রের খবর।
নবান্নের তরফে সবুজ সংকেত পেলেই রাজ্য অর্থ দফতরের নির্দেশিকা মেনে পদক্ষেপের পথে হাঁটবে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য অর্থ দফতর আগেই নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল শুক্রবারের ডাকা ধর্মঘটের দিন কোনও সরকারি কর্মচারী অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সার্ভিস ব্রেক এবং শোকজ করা হবে। পাশাপাশি বেতনও কাটা যাবে। শো কজের উত্তর যথাযথ না হলে বিভাগীয় তদন্তের মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে। এর পাশাপাশি শুক্রবারই চার দফায় উপস্থিতির হার নেওয়া হবে বলেও নবান্নের তরফে বিভিন্ন জেলা ও প্রত্যেকটি দফতরকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-
সংসারে সমৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য গণেশের মূর্তি রাখেন অনেকেই, কিন্তু সিদ্ধিদাতাকে ঠিক কীভাবে রাখলে তবেই ফিরবে সৌভাগ্য?
'অনেকের কাছেই আমার ধার আছে, কুন্তল তার মধ্যে একজন, এটা এমন কিছু ব্যাপার না', সংবাদমাধ্যমের কাছে অকপট সোমা চক্রবর্তী
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বহর দেখে তাজ্জব ইডি কর্তারা, রাত পর্যন্ত চলত বিলাসবহুল ফুর্তির আসর