রেমালের দাপটে বিপর্যস্ত রাজ্য, সকাল হতেই ছুটলেন বামেদের প্রতীক উর

Published : May 27, 2024, 06:58 PM IST
Pratikur Rahaman

সংক্ষিপ্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কার্যত বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। আর তারই মাঝে সোমবার সকালে এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গেলেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রতীক উর রহমান।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কার্যত বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। আর তারই মাঝে সোমবার সকালে এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গেলেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রতীক উর রহমান।

গতকাল রাতে এই ভয়ঙ্কর ঝড়ের দাপটে নানা জায়গায় ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার। অনেক জায়গায় উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এমনকি গাছও ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু জায়গায়। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। সোমবার সারাদিন ভারী বৃষ্টি চলেছে। সেইসঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

তাই নির্বাচনী আবহের মাঝেও দুর্যোগে বিপন্ন সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করলেন ডায়মন্ডহারবারের তরুণ বাম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। মূলত সাতগাছিয়া এবং বজবজ বিধানসভার অন্তর্গত রায়পুর, গদাখালি ও বুড়ুল এলাকায় পৌঁছে যান তিনি। এই অঞ্চলে বাঁধ ভেঙেছে। বাড়ি ভেঙে পড়েছে বহু জায়গায়। রীতিমতো অসহায় অবস্থা ওইসব অঞ্চলের মানুষদের। ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা এবং কথা বলেন এলাকার অধিবাসীদের সঙ্গে।

প্রার্থীকে কাছে পেয়ে এলাকার মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানান। তরুণ বাম নেতা বলেন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উচিৎ ছিল আরেকটু সতর্ক হওয়া। একের পর এক পাড়া এবং বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রতীক উর রহমান।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে তিনি জানান, “সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ফোন করেছেন। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করেছি যে, রেড ভলান্টিয়াররা রাস্তায় আছে, কোনও চিন্তা নেই। ভীষণ দুর্ভোগের মধ্যে মানুষ রয়েছে। আমি ঘুরে দেখলাম, মারাত্মক অবস্থা। নদীর ধারে মাটির বাড়ি, সরকারী ঘর পায়নি তারা। অনেক বাড়ি ধসে গেছে, হাফ ত্রিপল দেওয়া। অনেকে জীবন হাতে করে নিয়ে বসে আছেন।”

বাম প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, “ত্রাণ সেন্টারগুলি যেগুলি খোলা হয়েছে সেগুলি নামেই ত্রাণ সেন্টার। তার মধ্যে নেই বাথরুম, নেই খাবার জল। জাস্ট দুটো বেঞ্চ দিয়ে ত্রাণ সেন্টার চালু করে দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড দুর্ভোগে কাটছে। আমি গেছি, কথা বলেছি এবং জেলাশাসককে জানিয়েছি।”

সবমিলিয়ে, নির্বাচনী আবহের মাঝেও সামাজিক দায়িত্বে অবিচল দেখা গেল এই বাম ছাত্র নেতাকে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

কেন যান নি গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? দেখুন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Suvendu Adhikari: বঙ্কিমদা বলায় মোদীকে তুলোধনা তৃণমূলের, পাল্টা দিয়ে চরম আক্রমণ শুভেন্দুর