আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কবে ধরা পড়বে দোষীরা? তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চারিদিকে। যাতে তাড়াতাড়ি বিচার হয় তার জন্য রোজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসছে পরের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মামলায় বেজায় বিপাকে পড়েছে রাজ্য। এবার সামনে এল এক ভয়ঙ্কর তথ্য।
জানা গিয়েছে ঘটনার দিন সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ এক তৃণমূল বিধায়ক ফোন করেন সন্দীপ ঘোষের হাউজ স্টাফের মধ্যে একজনকে।
খোনাফুনির সময় শিয়ালদহ স্টেশনে ছিল ওই হাউজস্টাফ। এই কলেই কলেজে এক ছাত্রী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ হয়েছেন বলে জানানো হয় তাকে। বলা হয় দ্রুত হাসপাতালে যেতে। এরপর স্টেশন থেকেই ওই হাইজ স্টাফ দুই ইন্টার্নকে ফোন করে বিভাগে পৌঁছতে বলেন।
সেই ইন্টার্নের মধ্যেই একজনের দাবি, ঘটনা স্থলে পৌঁছে দেখা যায়, অন্য এক ইন্টার্ন ও হাইজ স্টাফ রয়েছেন ঘটনাস্থলে। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি সন্দী ঘোষের কাছ থেকেই ফোন পেয়েছেন বলে অনুমান প্রাক্ন অধ্যক্ষ শিবিরের ইন্টার্নদের। অধ্যক্ষকে খবর দেন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ট।
সঞ্জয় বশিষ্টকে খবর দেন ইউনিট হেড চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদার। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে অধ্যক্ষকে ফোন করেন এক ইন্টার্ন আর তারপরে যাতে ঘটনাস্থলে বহিরাগত কেউ ঢুকতে না পারে সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলেন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ।
এরপর সাড়ে ১০ টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছন সন্দীপ। ততক্ষণে অবশ্য হাসপাতে পৌঁছে গিয়েছে টালা থানার পুলিশ। এরপরেই চিকিৎসকের একটি মহল দাবি করেন কেন এতজন এসেছিলেন সেমিনার রুমে? কেন এত লুকোছাপা?
এরপর উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ১০টার মধ্যে যখন তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের খবর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, তাহলে বাবা- মাকে ১০ টা ৫২ নাগাদ কেন জানানো হল। কেন বলা হল আত্মহত্যার কথা?
এ প্রসঙ্গে মৃতার মা জানিয়েছেন, " আমরা বাড়ি থেকেই বুঝে গিয়েছিলাম যে ওরা কিছু একটা লুকিয়ে যেতে চাইছে। আমরা গাড়িতে থাকাকালীন ওদের গলার স্বর শুনে চাই মনে হয়েছিল। "
তরুণী চিকিৎসকের বাবা জানান, “ কাউকে মৃত্যু সংবাদ দেওয়ার আগ যেমন স্বর থাকে , ওই স্বরটাতেই বোঝা গিয়েছিল কিছু চাপা দেওয়া হয়েছে”