একাধিক রূপে দেবী,নারীশক্তিই মূল ভাবনা আনন্দপল্লী সর্বজনীনের

  • দেবী দশভূজা বহু রূপে দর্শিত হবে এখানে 
  • মহাকাশচারী থেকে দেবী এখানে রূদ্রমূর্তিধারী
  • পূর্ব বর্ধমানের আনন্দপল্লীতে নারীশক্তিই মূল ভাবনা পুজো কমিটির

Tapas Dutta | Published : Sep 21, 2019 12:04 PM IST / Updated: Sep 23 2019, 02:32 PM IST

দেবী দশভূজা বহু রূপে দর্শিত হবে এখানে। মহাকাশচারী থেকে দেবী এখানে রূদ্রমূর্তিধারী। পূর্ব বর্ধমানের আনন্দপল্লীতে নারীশক্তিই মূল ভাবনা পুজো কমিটির।

মা এখানে কোনও আলাদা শক্তি নন। সমাজের নারী শক্তির মাঝেই পুজিত হবেন দেবী দুর্গা। বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীরাই এই পুজোর থিম। যেখানে দেবী দুর্গাকে সমাজের প্রতিষ্ঠিত নারীদের স্বীকৃত রূপ হিসাবেই দেখছে পুজো কমিটি। তাই পূর্ব বর্ধমানের আনন্দপল্লীর মণ্ডপে ঢুকলেই চোখে পড়বে কল্পনা চাওলার প্রতিরূপ। কোথাও বা দেবী মাকে দেখা যাবে রুদ্রমূর্তিধারী হিসাবে। 

পুজোর ভাবনাকার সিদ্ধার্থ পাল জানান, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে  সমাজ সচেতনতার বার্তা দেওয়াও তাঁদের উদ্দেশ্য। সেকারণে মণ্ডপে ডোকার আগেই চোখ পড়বে একাধিত সচেতনী পোস্টার। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী করা উচিত তা বলা হয়েছে পোস্টারে। সঙ্গে রয়েছ মোবাইল ফোন চার্জে বসানো অবস্থায় কথা না বলার বার্তা। সম্প্রতি জলের অভাবের সম্মুখীন হয়েছে দাক্ষিনাত্য। বেঙ্গালুরুর মতো শহরে চোখে পড়েছে জলের আকাল। পরিবেশবিদদের মতে, রাজ্যে আকাশছোঁয়া বাড়ির সংখ্য়া বাড়ায় ক্রমশ জলস্তর কমে যাচ্ছে। আগামী দিনে প্রবল জলকষ্টের মুখ দেখতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। জল সংরক্ষণে তাই মণ্ডপের বাইরেই থাকছে জল ধরো, জল ভরোর বার্তা।

এ বছর ২৬ বছরে পা দিচ্ছে আনন্দপল্লী সর্বজনীন। সে কারণে পুজোর প্রতি রয়েছে আলাদা আবেগ , উদ্দিপনা। সব মিলিয়ে ১৪ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে পুজোতে। পুজো কমিটির ধারণা তাঁদের ভাবনা মনে ধরবে বার্ধমানবাসীর। পুজোর দিনগুলোতে দেবীকে দেখতে উপচে পড়বে ভিড়।
 

Share this article
click me!