তাঁর বয়সে অনেকেই শক্তি হারিয়েছেন। অথচ তিনি লড়ে চলেছেন 'শক্ত হতে'। ৬৯ বছরেও চালিয়ে যাচ্ছেন আত্মরক্ষার পাঠ। বারাসাতের মুক্তিদেবী আজ সামুরাই ঠাকুমা।
কথায় আছে,৮০তেও আসিও না। পঞ্চাশের কোটা পেরোলেই এই আকাঙ্খা ভর করে প্রত্যেক মানুষের। বার্ধক্য যাতে না ছোঁয় তাঁর জন্য কী করি না আমরা। অথচ বার্ধক্য দূর করতে নয়,নিজেকে সুস্থ রাখতে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এই প্রবীণা। উত্তর ২৪ পরগণার মহিলাদের বলছেন,ছোট থেকেই সবাই আত্মরক্ষার পাঠ নাও। যাতে অবলা বলে তাচ্ছিল্য না করে কেউ। সঙ্গে এটাও মনে রেখ, আমাদের সময় মেয়েদের এত স্বাধীনতা ছিল না। এই স্বাধীনতাকে উপযুক্ত ক্ষেত্রে ব্য়বহার কর।
তবে শুধুই কি আত্মরক্ষা? মুক্তিদেবী জানিয়েছেন,ক্যারাটে শিখে একেবারে সুস্থ তিনি। সুগার, প্রেসার এমনকী অতিরিক্ত ওজনও নেই তাঁর। সেকারণে আরও ক্যারাটের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিন তিনি। এখনও মনে করেন, তাঁর বয়সী মহিলারাও এই বিদ্য়ে রপ্ত করতে পারবেন। তাতে তাঁদের উপকারই হবে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কোচের কাছে প্রশিক্ষণ নিলেই কাজ হবে। অন্যথায় গুরু ছাড়া এই বিদ্যে রপ্ত করতে গেল ফল হতে পারে বিপরীত।
দত্তপুকুর এলাকায় স্টেশন রোডে বলাকা সংঘের এলাকাতে খুবই পরিচিত মুখ মুক্তি মুখোপাধ্যায় দে। তবে মুক্তি ঠাম্মা বললে হয়তো অনেকেই চিনবেন না তাঁকে। এলাকায় সামুরাই ঠাকুমা বললে এক ডাকে চেনে সবাই। আগে কলকাতার বেলেঘাটায় একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষিকা ছিলেন মুক্তি দেবী। সাংসারিক জীবনে একমাত্র ছেলে অধ্যাপক অমিতাভ দে-কে নিয়ে দত্তপুকুরেই বাস করেন প্রবীণা। শরীরচর্চা বা আত্মরক্ষার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ যে কোন বয়সের বাধা মানে না তা প্রমাণ করে দিলেন মুক্তিদেবী।