ইসিএলএর পারবেলিয়া কোলিয়ারির খনির শ্রমিকরা আন্দোলনের পথই বেছে নিলেন। খনির ভিতরে জল জমছে।
জল ঢুকে বিপদজনক পরিস্থিতি পুরুলিয়ার নেতুড়িয়া থানার ই সি এলের পারবেলিয়া কোলিয়ারী।যেকোন সময় কোলিয়ারীতে ধ্বস নেমে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।এই অবস্থায় ই সি এল কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। বাধ্য হয়েই বিক্ষোভের পথে হেঁটেছেন তাঁরা।
আতঙ্কের প্রহর গুনছেন পারবলিয়া কোলিয়ারির খনির শ্রমিকরা। বাধ্য হয়ে খনি শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে আন্দোলন নামলেন পারবেলিয়া কোলিয়ারির খনি শ্রমিকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের ব্যানারে আজ থেকে কোলিয়ারির সামনে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ।।কয়লা খাদান শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক হরেরাম সিংহের নেতৃত্বে দেখানো হয় বিক্ষোভ।হরেরাম সিং পুরুলিয়া জেলাতে কোল ইন্ডিয়ার মাত্র দুটি কোলিয়ারি পারবেলিয়া এবং দুবেশ্বরী।জেলার মাত্র এই দুটি কোলিয়ারিকে কিছু আধিকারিক কোলিয়ারি বন্ধ করে খোলা মুখ খনি করতে চাইছেন। তার জন্য কোলিয়ারির ভেতরে জমা জল থেকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। এবার প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তার জন্য কোলিয়ারির ভেতর জলমগন্ম। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আতঙ্কে খনির শ্রমিকরা।
ভারতের আসল পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে নিখোঁজ, সেই জঙ্গি নিহত এনকাউন্টারে
Work From Home আর নিরাপদ নয়, কর্মীদের বেতনে কোপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে google
কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। জল বার করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও অভিযোগ করছেন শ্রমিকরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন শিফটে কাজ করছেন শ্রমিকরা। জল বের করার জন্য পাম্প কলিয়ারিতে নামানোর পরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে।দীর্ঘ দিনের পুরনো পাম্প।মেরামত হয়না। তাই আজ এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ম্যানেজমেন্টকে এ বিষয়ে জানানোর পরেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। কোল ইন্ডিয়া পারবেলিয়া কোলিয়ারি কে বন্ধ করার চক্রান্ত করলেও তৃণমূল কংগ্রেস তা হতে দেবেনা। আতঙ্কিত খনির শ্রমিক ইন্দ্রাসন মিশ্রা জানান কোলিয়ারি বন্ধ করতে যেভাবে জল ঢুকেছে তাতে আমরা সমস্ত খনি শ্রমিক আতঙ্কিত। নিচে এখন ১০৫ লেভেল পর্যন্ত জল আছে।যা ভয়ের। এই জল না বের হওয়া পর্যন্ত আমরা আতঙ্কে রয়েছি। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ যদি ভালো পাম্প মোটর দেয়,তাহলে জল এক সপ্তাহের মধ্যেই বের করে দেওয়া যাবে। তাহলে আতঙ্কও কমবে অন্যদিকে কয়লা উত্তোলনও শুরু হবে। আবার জল বের করতে দেরি হলেও ধ্বস নামার সম্ভাবনাও প্রবল বলেও দাবি শ্রমিকদের। তাই খনির ভেতর কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।