গত কেয়কদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের মোদিনীপুর সদর ব্লক এলাকায় হাচির পাল তাণ্ডব করে চলেছিল।  হাচির হামলায় নষ্ট হয় বহু ফসল, এছাড়াও হাতির পাল তাণ্ডপব চালিয়ে ভেঙে ফেল বেশকিছু বাড়িঘর। এই হামলায় জখম হন ৩ জন গ্রামবাসী। শেষপর্যন্ত অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত ও বীতশ্রদ্ধ গ্রামবাসীরা হাতির পালকে তাড়াতে সক্ষম হন। বিশাল হুলা পার্টি ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রায় ৫০টি হাতিকে গুড়গুড়িপাল এলাকা থেকে কংসাবতী নদী পার করিয়ে দেওয়া হয়। 

নির্বাচনি প্রচারে রামন্দির নির্মাণের কথা বারবার বলেছে বিজেপি।  সুপ্রিম কোর্টের রায় যে তাঁদের পক্ষে যাবে সেই আশায় বিজেপি ঘনিষ্ঠ সাধু-সন্তরা রাজস্থান ও গুজরাত থেকে পাথর আনাও আগেই শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে করসেবকপুরমে এক মডেল রামন মন্দির নির্মাণ করাও হয়েছে। অযোধ্যার কাছে সেই মন্দিরে কাতারে কাতারে মানুষ আসেন রামচন্দ্রকে দেখতে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইতিমধ্যে সাধুসন্তরা আবেদন করেছেন রামমন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর যাতে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই হয়। 

১৯৯০ সালে রামমন্দির নিয়ে জনসমর্থন গড়তে রথ বার করেছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। সেই সময় আডবাণীর সঙ্গী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মোদী। আর তাঁর জমানাতেই বিজেপির রাম মন্দিরের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বারবার সরব হয়েছেন অমিত শাহ। বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে বারবার তুলে আনা হয়েছে এই প্রসঙ্গ। অবশেষে পদ্মশিবিরের চাণক্য সফল হলেন তাঁর চালে। সাফল্য উদাযাপনের দিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও। 

বিতর্কিত অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত জমিতেই হবে রামমন্দির। বিকল্প পাঁচ একর জমিতে হবে মসজিদ। অযোধ্যার ঐতিহাসিক রায়ে একমত সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতি। মন্দির নির্মাণের জন্য ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্ট তৈরি করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করে দেন বিচরপতিরা।মালিকানা প্রমাণে ব্যর্থ মুসলিম পক্ষরা।

আগামী ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রঞ্জন গগৈ। তার আগে সমাধান করে দিয়ে গেলেন দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বিতর্কিত জমি মামলার। অবসরের আগেই তিনি অযোধ্যা মামলার রায় দিতে চান বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন  রঞ্জন গগৈই।  সেই মত  প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে অযোধ্যা মামলার শুনানি চলছিল। গত ৬ অগস্ট থেকে এই মামলার দৈনিক শুনানি চলে। ১৬ অক্টোবর শেষ হয় মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও সাংবিধানিক বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রুচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি আব্দুল নাজির। 

বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরে। শনিবার সকালেও সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঘুম ভেঙেছে কলকাতার। একনাগাড়ে হয়ে চলেছে বৃষ্টি। ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এই অবস্থায় শুনশান কলকাতার পথঘাট। শুক্রবার রাত থেকেই ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বাবুঘাটে। বাবুঘাটে নোঙর করে রাখা জাহাজগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।

রথযাত্রার সঙ্গে ভারতে বিজেপির উত্থানের এক বড় যোগ রয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে জনমত সংগঠিত করতে রথযাত্রার পরিকল্পনা করেছিলেন বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এল কে আডবানি। পরিকল্পনা ছিল দেশের নানা রাজ্যের মধ্যে দিয়ে ৮ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অযোধ্যা পর্যন্ত যাবে এই রথ। ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর  গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে যার সূচনা হয়

১৫২৭ সালে ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন মোগল সম্রাট বাবর। আর নিজের সাফল্য উদযাপন করতে ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় নির্মান করেছিলেন মসজিদ। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সেই জমি নিয়েই চলছে বিবাদ। হিন্দুদের দাবি ছিল এই জমিতেই জন্মেছিলেন ভগবান রামচন্দ্র, সীতার রান্নাঘরও ছিল এখানে। ইংরেজ আমলে এই বিতর্কিত জমিতে দুই সম্প্রদায়কেই পৃথকভাবে ধর্মচারণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে টাকির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। ছুটি কাটাতে বহু মানুষ আসেন এখানে। ২০১৬ সালে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে টাকি পুরসভার উদ্যোগে এখানে একটি ভাসমান রেস্তোরাঁ তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু  চালু হওয়ার আগেই  ক্রমে রক্ষণবেক্ষণের অভাবে সেই রেস্তোরাঁ আজ তলিয়ে যাচ্ছে  ইছামতী নদীতে। বিষয়টিতে হতবার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা। পুরো বিষয়টিতে টাকি পুরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন তাঁরা। শুক্রবার রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে বুলবুলের দাপট। বাড়ছে ইছামতীর জল। তাতে আরও তলিয়ে যাচ্ছে  এই স্বপ্নের রেস্তোরাঁ। 
 

শনিবার বিকেলেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। তারজন্য আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। সমুদ্র সৈকতে যাতে পর্যটকরা না নামেন তার জন্য দিঘা, মন্দারমনি, শংকরপুরে চলছে মাইকিং। নেমেছ এনডিআরএফ দল। আর এর মধ্যেই  ওল্ড ও নিউ দিঘায়  সুযোগ পেয়ে সৈকতে ভিড় জমনোর চেষ্টা করছেন কিছু উৎসাহী জনতা। কিন্তু কোনও  ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপত্তার কারণে তাঁদের সরিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন।
 

শুনিবার বিকেলেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। ঘনিভূত নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকেই  শুরু হয়ে গিয়েছে  বৃষ্টি। পরিস্থিত সামলাতে ইতিমধ্যে  পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমনি ও তাজপুর সহ উপকূলিয় এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিল দল। নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে এনডিআরএফ দল সমুদ্র সৈকতে এসে পৌঁছে গিয়েছে শুক্রবার রাতেই। সৈকত এলাকায় পর্যটকদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।