সংক্ষিপ্ত
- ভারতের মত বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
- দেশটিতে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে
- করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার খরচ সরকার দেবে বলে ঘোষণা
- তারপরেও বেসরকারি হাসপাতাল বিল ধরাল করোনা রোগীকে
ভারতের মত বাংলাদেশেরও করোনা পরিস্থিতি দিনে দিনে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। তার মধ্যে গত রবিবার থেকে সেদেশেও খুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিস-কাছারি, গণপরিবহন। আর এই অবস্থাতেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। শেষ পাওয়া খবরে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের শিকার ৫৫,১৪০ জন। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৭৪৬ জন। এদিকে এবার বাংলাদেশের হাসপাতালে বিলের জন্য করোনা রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল।
বাংলাদেশের যেসমস্ত হাসপাতালে কোরনা আক্রান্তদের চিকিৎসা তলছে তার মধ্যে রাজধানী ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল অন্যতম। এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে সাইফুর রহমান নামের এক রোগী অভিযোগ করেন, করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর চিকিৎসকের ছাড়পত্র মিললেও বিলের জন্য হাসপাতাল তাকে ছাড়ছে না।
দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এবার ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল, মৃতদের ৫০ শতাংশই ষাটোর্দ্ধ
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মৃত্যুতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা, করোনা থেকে মুক্তি পেলেন না বিচারকও
ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লক্ষ, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ফুটবল লিগ চালু করতে মরিয়া বোলসোনারো
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ মে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী সাইফুর। অভিযোগ, সেরে ওঠার পর ২ জুন ছাড়পত্র দেওয়ার সময় ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। সাইফুরের ছোট ভাই আরিফুর রহমান জানান, বহু কষ্টে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে তা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন সাইফুর।
ঢাকায় যে ১৩টি সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড-১৯ চিকিৎসা দিচ্ছে, তার মধ্যে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন একটি। দেশের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই, কেননা এই বিল সরকার মেটাবে।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবার দাবি, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তারা ‘ডেডিকেটেড’ ছিলেন ৩১ মে পর্যন্ত। ওই সময়ের চিকিৎসা ব্যয় সরকার দিলেও সাইফুর পরে যে দুদিন হাসপাতালে ছিলেন, সেজন্য তাকে বিল দিতে হবে।