থমকে গেল ৭৩ বছরের রাজকীয় দাম্পত্য। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী তথা ব্রিটিশ রাজপরিবারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব প্রিন্স ফিলিপ। শুক্রবার, বাকিংহাম প্যালেস-এর পক্ষ থেকে এই দুঃসংবাদ জানানো হয়। ব্রিটিশ রাজ পরিবারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পরিচয় ছিল, ডিউক অফ এডিনবরা। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত ৬৯ বছর ধরে ব্রিটেনের সিংহাসনে রয়েছেন। এই দীর্ঘ সময়ে সবসময়ই স্ত্রীর পাশে ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রাজ প্রাসাদে কঠোর প্রশাসক হিসাবে খ্যাতি ছিল তাঁর। 

থমকে গেল ৭৩ বছরের রাজকীয় দাম্পত্য। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী তথা ব্রিটিশ রাজপরিবারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব প্রিন্স ফিলিপ। শুক্রবার, বাকিংহাম প্যালেস-এর পক্ষ থেকে এই দুঃসংবাদ জানানো হয়। ব্রিটিশ রাজ পরিবারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পরিচয় ছিল, ডিউক অফ এডিনবরা। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত ৬৯ বছর ধরে ব্রিটেনের সিংহাসনে রয়েছেন। এই দীর্ঘ সময়ে সবসময়ই স্ত্রীর পাশে ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রাজ প্রাসাদে কঠোর প্রশাসক হিসাবে খ্যাতি ছিল তাঁর।

বাকিংহ্যাম প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'মহামান্য রানী তাঁর প্রিয় স্বামী' তথা 'ডিউক অফ এডিনবরা'র মৃত্যু সংবাদ দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবেই উইন্ডসর ক্যাসেলে এদিন সকালে তাঁর প্রয়ান ঘটেছে। উপযুক্ত সময়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পর্কে পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। প্রিন্স ফিলিপের প্রয়াণে ব্রিটিশ রাজ পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন একজন গ্রীক রাজপুত্র। ১৯৪৭ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল তাঁর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজ পরিবার নিয়ে যখন যুবতী রানী হিমশিম খাচ্ছেন, তখন প্রিন্স ফিলিপের হাত ধরেই আধুনিক হয়ে উঠেছিল ব্রিটিশ রাজতন্ত্র। বাকিংহাম প্যালেসে রানীর প্রধান ভরসা ও বিশ্বাসের ব্যক্তি বয়ে উঠেছিলেন। ১৯৯৭ সালে তাঁদের বিবাহের ৫০তম বার্ষিকীতে রানী এলিজাবেথ বলেছিলেন, প্রিন্স ফিলিপ খুব সহজেই তাঁর শক্তি হয়ে উঠেছিলেন এবং এত বছরে তার পরিবর্তন ঘটেনি।

আরও পড়ুন - কৃষি না শিল্প - একদশক পর নির্বাচনে ফিরে এল পুরোনো প্রশ্ন, কী বলছে সিঙ্গুর

আরও পড়ুন - বাদ 'জয় শ্রীরাম', ভরসা নিজের কাজ - শুভেন্দুর থেকেও কঠিন পরীক্ষায় এবার রাজীব, দেখুন

আরও পড়ুন - বঙ্গের কোন কোন কেন্দ্রে সহজে জিতবে বিজেপি, কোথায় লড়াই কঠিন - কী বলছে দলের গোপন বিশ্লেষণ

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ বোধ করায় লন্ডনের এক হাসপাতালে ভর্তি করা করা হয়েছিল। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন কোভিড-১৯ না হলেও তাঁর একপ্রকার অজজানা সংক্রমণ হয়েছে। সেইসঙ্গে হার্টের অববস্থাও ভালো নয়। চার সপ্তাহ চিকিৎসার পর গত ১৬ মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন রানী এলিজাবেথের স্বামী। এরপর চলতি মাসের শুরুতে তাঁকে লন্ডনের আরও একটি স্পেশাল কার্ডিয়াক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে তাঁর হার্টের চিকিৎসা করা হয়। তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন।

YouTube video player