সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকান, হোটেল
  • খাবার জুটছে না পথকুকুরদের
  • অবলা প্রাণীগুলিকে খাওয়ালেন পশুপ্রেমীরা
  • সারমেয়দের ভুরিভোজ চলল শহরে

বিপদে পড়েছে মানুষ। আর তার ফল ভোগ করছে অবলা প্রাণীগুলিও! পথ কুকুরের জন্য বাড়িতে 'রান্না' করলেন কয়েকজন পশুপ্রেমী। সোমবার দিনভর বেহালায় বিভিন্ন এলাকায় চলল সারমেয়দের ভুরিভোজ। একই ছবি দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও।

আরও পড়ুন: ফের দেখা গেল মানবিক মুখ, পরিচারিকা-রিক্সা ও ঠেলাওয়ালাদের ঘরে ফেরাল পুলিশ

পোষা কুকুরদের যন্তআত্তির অভাব হয় না। ক্ষিদে পাওয়ার আগেই প্রিয় পোষ্যের মুখে খাবার তুলে দেন মালিক কিংবা মালকিন। লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছে পথকুকুররা। পথ ধারে বিভিন্ন দোকান ও হোটেলের উচ্ছিষ্ট খেয়েই দিন কাটে তাদের। কখনও কখনও সহৃদয় ব্যক্তি হয়তো বা ছুঁড়ে দেন বিস্কুট কিংবা অন্য কোনও খাবার। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এখন রাস্তায় বেরোচ্ছেন না কেউ, বন্ধ দোকানপাট ও হোটেলও। গত দু'দিন ধরে খাওয়া জুটছে না পথকুকুরদের। লকডাউনে মাঝেই বৃহস্পতিবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন পশুপ্রেমী যুবক-যুবতী। সঙ্গে ছিল বাড়িতে রান্না করা ভাত, ডাল ও মুরগির মাংস। বেহালার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পথকুকুরদের খাওয়ালেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন: লকডাউনে ছেলে আটকে বাংলায়, বিহার থেকে সাইকেল চালিয়ে আসছেন বাবা

আরও পড়ুন: করোনা গুজবে 'একঘরে', মানসিক চাপে আত্মহত্যা করলেন যুবক

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের দেহশ্রী মোড় এলাকায় রবিবার রাতে কুকুর ও গরুদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে দেবীনগর পর্যন্ত এলাকায় রীতিমতো খুঁজে বের করে কুকুর ও গরুদের খাওয়ালেন কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয় পশুপ্রেমীরা। এই কর্মসূচি হাজির ছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যানও।