সংক্ষিপ্ত

তৃতীয় ঢেউয়ের পর এবার করোনার চতুর্থ ঢেউ আসতে চলেছে। ওমিক্রন বিএ৪ এবং বিএ৫ বিপদের আশঙ্কা ছড়াচ্ছে। এই দুটি ভারিয়ান্ট ইতিমধ্যেই ভারতে চলে এসেছে।

তৃতীয় ঢেউয়ের পর এবার করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা। লকডাউন, টিকা, মাস্ক কোনোভাবেই কাবু করা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসকে। বারবার মিউটেশন বদলে নতুন নতুন রূপে হাজির হচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। কোভিড সংক্রমণের তিন বছর হতে চললেও কিছুতেই শেষ করা যাচ্ছে না এই রক্তবীজকে। ওমিক্রনের পর এরপর ওমিক্রনের নতুন দুটি সাব ভ্যারিয়েন্ট বি এ ৪ ও বি এ ৫ নিয়ে হাজির করোনা। এই নতুন দুই ভারিয়ান্টের প্রথম খোঁজ মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের কথায়, "আমরা দেখতে পারছি না যে এই ভাইরাস কী ভাবে নিজের শাখা প্রশাখা বাড়াচ্ছে। মিউটেশনের বিষয়টিও অনেকসময়ই বোঝা যাচ্ছে না। তাই আগামীদিনে কী হবে বলা মুশকিল।" জোয়ে কোভিড অ্যাপের প্রধান প্রফেসর টিম স্পেকটর, এই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের প্রতিটি মানুষকেই কোভিডের এই নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক হতে হবে।

আরও পড়ুন- মহিলার ঘাড়ে চেপে কোভিড পরীক্ষা, দেখুন চিনা স্বাস্থ্যকর্মীদের ভয়ঙ্কর অত্যাচারের ভিডিও

আরও পড়ুন- গুরুতর কোভিড সংক্রমিতদের আইকিউ লেবেল কমছে, নতুন রিপোর্ট বলছে সারতে সময় লাগে ৬ মাস

আরও পড়ুন- কোনও ব্যক্তিকে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য জোর করা যাবে না- কেন্দ্রকে স্পষ্ট বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী যে প্রধান দুটি লক্ষণের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে: গন্ধ এবং কানে গর্জন হওয়া।
১. গন্ধ: নতুন ভারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমিত হলে অনেকের গন্ধ চলে যাচ্ছে। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর সময়ও এই লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। আরেকবার ফের দেখা মিলল এই উপসর্গের। উপসর্গটির নাম অ্যানসোমনিয়া। এই উপসর্গ থাকলে মানুষ কিছুটা সময় বা অনেকটা সময়ের জন্য গন্ধ পান না। 
২. টিনিটাস: নতুন ভারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমিত হলে টিনিটাস বা ইয়ার রিংগিং-এর সমস্যা হচ্ছে অনেকের। এই প্রসঙ্গে টিম স্পেকটর লক্ষণটিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবার কথা বলেন। দেখা গিয়েছে যে বহু মানুষ এই একই সমস্যায় পড়ছেন। এই উপসর্গ দেখা দিলে কানে একটি রিং-এর মতো শব্দ ক্রমাগত হতেই থাকে। জানা গিয়েছে ৫ জন পিছু ১ জন মানুষের টিনিটাসের সমস্যা হচ্ছে। তাই সতর্ক হতে হবে।
টিনিটাস হলে আরও যে সমস্তলক্ষণ গুলি দেখা যাচ্ছে সেগুলি হলো:
এই লক্ষণগুলি এক একজন মানুষের শরীরে একেকরকম প্রভাব ফেলে।

১. কানে গর্জন হচ্ছে
২. রিং-এর মতো শব্দ হচ্ছে
৩. কিছু বেজে চলেছে
৪. হিস শব্দ হচ্ছে
৫. ক্লিকের মতো শব্দ হচ্ছে
৬. ফড়ফড় শব্দ হচ্ছে
৭. হুশ শব্দ হচ্ছে
৮. ধুপধুপ শব্দ হচ্ছে ইত্যাদি।