সংক্ষিপ্ত
ভারতের ওমিক্রন প্রায় অপ্রতিরোধ্য আকার নেবে। এটিতে দেশের সব মানুষই আক্রান্ত হবেন। বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিস্তার বন্ধ করতে পারবে না। তবে ওমিক্রন অনেকটাই হালকা। তাই কোভিড-১৯ এখন আর তেমন ভয়ঙ্কর নয়। এমনই জানিয়েছেন, ভারতের মহামারি বিশেষজ্ঞ ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সেন চিকিৎসক জয়প্রকাশ মুলিল।
ওমিক্রন (Omicron) কী আশীর্বাদ? আবারও সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন ভারত ও ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা (Experts)। দুই বিজ্ঞানীর দাবি এটির পরই করোনাভাইরাস (Coronavirus) সাধারণ ফ্লু-য়ের মত আকার নেবে। ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞের কথায়, ওমিক্রন কোভিড-১৯কে (COVID-19) একটি স্থানীয় রোগে পরিণত করছে। যা দীর্ঘ দিন ধরেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে বেঁচে থাকবে। তাতে মানুষের জীবনে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেবে। গোটা বিশ্বে যখন ওমিক্রনণ সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে, তখনই এমন আশার কথা শোনাল ইউরোপীয়ান ড্রাগ ওয়াচডগ। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি চতুর্থ টিকার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ কোনও টেকসই কৌশল নয়।
আমস্টারডামের ভ্যাকসিনের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান মার্কো ক্যাভালেরি সাংবাদিকদের বলেছেন, মহামারি কখন টানেলের শেষ প্রান্তে থাকবে তা এখনও পর্যন্ত কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারে না। তিনি আরও বলেছেন ওমিক্রনের সঙ্গে সঙ্গে টিকাকরণের চলছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে। তাই প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা তৈরি হবে। সেই কারণেই করোনাভাইরাস খুব দ্রুত একটি স্থানীয় রোগে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে এখনও আমরা মহামারির মধ্যে রয়েছি। ওমিক্রনের এই বাড় বৃদ্ধি যে কোনও সময় যে কোনও দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড -১৯ এর বুস্টার ডোজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জানিয়েছে করোনাটিক দুটি ডোজই যথেষ্ট। বুস্টার ডোসের কোনও প্রয়োজন নেই। সেই প্রসঙ্গ তুলে ক্যাভালেরি বলেছেন প্রতি চার মাস অন্তর যদি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয় তাহলে ইমিউন প্রতিক্রিয়া বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমস্যায় পড়বে। তিনি আরও বলেছেন যদি বুস্টার ডোজ দিতেই হয় তাহলে তার ব্যবধান আরও বাড়ানো জরুরি। EMAএর একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংক্রামক হওয়া সত্ত্বেও ওমিক্রনের বিপদ ডেল্টার তুলনায় অনেকটা কম।
অন্যদিকে ভারতের ওমিক্রন প্রায় অপ্রতিরোধ্য আকার নেবে। এটিতে দেশের সব মানুষই আক্রান্ত হবেন। বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিস্তার বন্ধ করতে পারবে না। তবে ওমিক্রন অনেকটাই হালকা। তাই কোভিড-১৯ এখন আর তেমন ভয়ঙ্কর নয়। এমনই জানিয়েছেন, ভারতের মহামারি বিশেষজ্ঞ ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সেন চিকিৎসক জয়প্রকাশ মুলিল। তিনি আরও বলেছেন ওমিক্রন এখন নিজেকে সাধারণ সর্দিকাশির মত করেই উপস্থাপন করেছে।
সংক্রমণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা আজীবন থাকে যেতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি। দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই সংক্রিত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। টিকা দেওয়ার আগেই অধিকাংশ সংক্রিত হয়েছিল। তাই প্রথম টিকাতে বুস্টার ডোজ হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ইমরানের সুরে সুর মেলাচ্ছেন জাভেদ, ভিন্ন ইস্যুতে টুইট করলেও নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
PM Modi: নীতিশ কুমার ও বাসবরাজ, দুই কোভিড আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লতারও খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী