সংক্ষিপ্ত

  • প্রথমে ব্যাট করে ৩০৫ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড
  • শতরান করেন জনি বেয়ারস্টো
  • নিউজিল্যান্ড শেষ হয়ে গেল ১৮৬ রানে
  • ১১৯ রানে জিতে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

 

বিশ্বকাপ ২০১৯-এ প্রথম দিকে বেশ কয়েক ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও অপরাজিত ছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড বরং ভাল শুরু করেও তিনটি ম্যাচ হেরে গিয়ে নিজেদের কাজটা কঠিন করে ফেলেছিল। শেষ দুই ম্যাচে তাদের জিততেই হত। সামনে ছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। গত রবিবার ভারতকে ৩১ রানে হারিয়েছিল, আর বুধবার তারা নিউজিল্য়ান্ডকে হারাল ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। ফলে তৃতীয় দল হিসেবে চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল তারা, ১৯৯২ সালের পর প্রথমবার। আর নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠাটা এখনও খাতায় কলমে পাকা না হলেও, পাকিস্তানের সামনে একেবারে অসম্ভব একটা অঙ্ক রয়েছে। কাজেই কিউইদেরও শেষ চারে খেলা একেবারে নিশ্চিত।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারের পর প্রাক্তনরা তাঁদের দলের ব্যর্থ হওয়ার জন্য় ওঁত পেতে বসে আছে বলে বিতর্ক বাধিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। তাঁর প্রবল সমালোচনা হয়েছিল ওই মন্তব্যের জন্য়। পর পর দুই ইনিংসে শতরান করে কিন্তু তিনি মাঠে তার জবাব দিলেন। এদিন তিনি করেন ৯৯ বলে ১০৬। যারপর মাইকেল ভনও বলেছেন, তাঁর সঙ্গে বেয়ারস্টো-এর ঝামেলা আরও হলে ভাল হয়।

আরও পড়ুন - দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন কিউইদের! বেয়ারস্টোর শতরানের পর পথ হারাল ইংল্যান্ড

আরও পড়ুন - ছক্কা-বৃষ্টিতে গ্যালারিতে আহত মহিলা ভক্ত! কী করলেন রো'হিট' জানেন

আরও পড়ুন - থুতু ফেলছেন ধোনি, পড়ছে রক্ত! ছবি হল ভাইরাল, এটাই কী খারাপ খেলার কারণ

বেয়ারস্টো-এর ওপেনিং জুড়িদার জেসন রয়-ও এদিন ৬০ রান করেন। তাঁদের প্রথম উইকেট জুটিতে ১৯ ওভারে ১২৩ রান ওঠে। যেখান থেকে মাত্র ৩০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তুলেছিলে ইংল্যান্ড। এখান থেকে হেসে-খেলে ৩৭০-৮০ রান ওঠে। কিন্তু ক্রমশ মন্থর হয়েছে পিচ। আর থমকে আসা বলে ফাঁদে পড়ে ছটফট করেছেন ইংরেজ স্ট্রোক প্লেয়াররা। শেষ ২০ ওভারে ৭টি উইকেটের বিনিময়ে ওঠে মাত্র ১০১ রান। তাতেই ৩০৫/৮-এর বেশি এগোতে পারেনি ইংল্যান্ড।

রান তাড়া করতে নেমে কিন্তু নিউজিল্যান্ড কখনই খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। ৬ ওভারের মধ্য়েই মাত্র ১৫ রানের মধ্যে তাদের দুই গোড়াপত্তনকারী ব্যাটসম্য়ানই ফিরে যান। তাদের ব্যাটিং-এর প্রধান দুই ভরসা কেইন উইলিয়ামসন (২৭) ও রস টেলর (২৮) দুর্ভাগ্যের শিকার। দুজনেই রানআউট হন। তার মধ্য়ে উইলিয়ামসন তো আউট হলেন নন স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে। টেলরের মারা শট বোলারের হাতে লেগে তাঁর উইকেট ভেঙে দেয়। আর সেই স্পর্শ এতটাই সূক্ষ্ম ছিল যে তা সত্যি হাতে লেগেছে কিনা দেখতে আলট্রাএজ ব্যবহার করতে হল।

টেলর অবশ্য অযথা ঝুঁকি নিতে গিয়ে আউট হলেন। তিনি ফিরতেই ম্য়াচের ভবিষ্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। তাও শেষ দিকে টম ল্যাথাম (৫৭) ও স্যান্টনার (১২) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এই ম্যাচে অর্ধশতরান করে নক আউটের আগেই ফর্মে ফিরে এলেন ল্যাথাম। এটাই এই ম্যাচ থেকে নিউজিল্যান্ডের প্রাপ্তি। তবে এতে পরাজয় কিছুটা পিচোয়, কিন্তু একেবারে এড়ানো যায়নি।