সংক্ষিপ্ত
ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ চলাকালীন হেডিংলের আকাশে চক্কর রহস্যজনক বিমানের। লেজের সঙ্গে যুক্ত ব্যানারে কাশ্মীর নিয়ে স্লোগান। এই নিয়ে আইসিসির কাছে অভিয়োগ জানাল ভারতীয় বোর্ড। সেমিফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন বিমান ওড়া বন্ধ।
রবিবার ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ চলাকালীন হেডিংলের আকাশে অন্তত তিন-চারবার একটি রহস্যজনক বিমানকে স্টেডিয়ামের আকাশে চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছিল। কার লেজের সঙ্গে যুক্ত ব্যানারে ছিল কাশ্মীর নিয়ে স্লোগান। যা নিয়ে মাঠে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ওই বিমানটি কোথা থেকে এল, কি তার উদ্দেশ্য ছিল কিছুই এখনও জানা যায়নি। সোমবার এই নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে আইসিসির কাছে সরকারিভাবে অভিযোগ জানানো হল।
রবিবার ম্যাচ শুরু ঠিক আগে প্রথমবার ওই বিমানটিকে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় তার পিছনে লাগানো ব্যানারে লেখা ছিল 'জাস্টিস ফর কাশ্মীর'। মাঠের উপর বেশ কয়েক বার চক্কর কেটে সেটি চলে যায়। এরপর শ্রীলঙ্কা ইনিংসের শেষ দিকে, ভারতের ইনিংসের মাঝামাঝি এবং রোহিতের শতরানের ঠিক আগে আরও তিনবার বিমানটি ফিরে আসে। কখনও তার ব্যানারে ছিল ভারতে গণহত্যা বন্ধের বার্তা, কখনও ছিল কাশ্মীরে খুনোখুনি বন্ধ করার বার্তা।
আরও পড়ুন - হার্দিক, পন্থ ও জিভার সঙ্গে নাচ! ৩৮ এল রঙিন ছন্দে - দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপে ধোনির ব্যাটে তিনটি লোগো! নিজেও কি অবসরের ইঙ্গিতই দিচ্ছেন
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপ ম্যাচের পাকিস্তানি বিজ্ঞাপনে অভিনন্দন! রুচি নিয়ে প্রশ্ন, সমালোচনা
এই নিয়ে ম্যাচের মধ্যেই বোর্ড থেকে ফোনে আইসিসিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে খবর ছিল। আইসিসি অবশ্য জানিয়েছিল নিরাপত্তার বিষয়ে তারা স্থানীয় পুলিশের উপর নির্ভরশীল। এর আগে আফগানিস্তান-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীনও একই ভাবে বালোচিস্তান স্বাধীন করার বার্তা দিয়ে একটি বিমান উড়েছিল। আর তারপরেই গ্যালারিতে মারামারি শুরু হয়েছিল। তারপর আইসিসির অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের পুলিশ নাকি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
তাতে যে কাজ দেয়নি তা রবিবারের ঘটনাতেই প্রমাণ। এখনও বিমানটি কোথা থেকে এল এবং কারা সেটি চালাচ্ছিল এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে তাদের শেষ বার্তা ছিল মুমতাজ নামে একটি স্থানীয় এক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁর নাম ছিল। যা থেকে মনে করা হচ্ছে ইয়র্কশায়ারে পাক বংশোদ্ভূত কয়েকজনেরই কাজ এটা। এই ঘটনার পর ম্যাঞ্চেস্টার এবং বার্মিংহামে সেমিফাইনাল চলার সময় মাঠের উপরের আকাশে বিমান চলাচলই সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা হয়েছে।