সংক্ষিপ্ত
- ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনই চালকের আসনে ভারত
- মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস
- দুরন্ত বোলিং সামি-উমেশ ইশান্তের
- দিনের শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান ভারতের
ছবিটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল প্রথম ঘন্টাতে, বা বলা চলে টস হওয়ার পরই। কারণ সবুজ ঘাসে ঢাকা উইকেটে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল। তরুণ এই নেতার সিদ্ধান্ত যে কতটা ভুল সেটা প্রথম দিনের শেষেই প্রমাণ হয়ে গেল। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৫০ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। মুসফিকুর রহিম ছাড়া আর কেউ দাগ কাটতে পারলেন না। উল্টো দিকে ভারতীয় পেসাররা যেন ছেলে খেলা করলেন বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে। মোট সাত উইকেট এল সামি,উমেশ, ইশান্তের ঝুলিতে। দুটি উইকেট নিয়ে ঘরের মাঠে ২৫০ টেস্ট উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁলেন নিলেন অশ্বিন।
আরও দেখুন - কতটা কাজ এগিয়েছে, ইডেন পর্যবেক্ষণ করে গেলেন দাদা
এদিনের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পেয়েছিলন সামি। কিন্তু সেটা হল না। পরপর দু’বলে দুটি উইকেট নেওয়ার পর হ্যাটট্রিক বল করার জন্য ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হল সামিকে। কারণ মাঝে পরে গিয়েছিল টি-ব্রেক। প্রথম দিনের খেলার শেষে সামি বলছিলেন, মাঝে এতটা সময় অপেক্ষা করতে হলে ছন্দ পতন হওয়া স্বাভাবিক। তবে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। কারণ দল ভাল পারফর্ম করেছে। বোলিংয়ে লেটার মার্কস পেলেও ভারত এদিন ফিল্ডিংয়ে কিছুটা হলেও ছন্দহীন। রাহানে একাটই তিনটি ক্যাচ ফসকালে। নইলে অশ্বিনের পাঁচ উইকেট পাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন - নকলে ছেয়ে গেছে কলকাতার ‘খেলার বাজার’ কেস ফাইল করে তদন্তে ইডি
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করার পর ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুতে রোহিতের উইকেট হারালেও টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং একবারের জন্যও চাপে পরেনি। ভারতীয় পেসাররা যে চাপ তৈরি করেছিলেন তার ধারে কাছেও যেতে পারলেন না বাংলাদেশের পেসাররা। দিনের শেষ দিকে স্পিনার এনে অবস্থা কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল। এতে যেন উল্টো হাত খোলার সুযোগ পেয়ে গেলেন ময়ঙ্ক ও পূজারা। একর পর এক বাউন্ডারি মেরে গেলেন তাঁরা। প্রথম দিনের খেলার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান ভারতের স্কোর বোর্ডে। ময়ঙ্ক অপরাজিত ৩৭ রানে। পূজারা আছেন ৪৩ রানে। দ্বিতীয় দিন চুটিয়ে ভারতের ব্যাটিং দেখার অপেক্ষায় ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা।
আরও পড়ুন - দিন রাতের টেস্ট খেলতে কেন বেছে নেওয়া হয়েছে গোলাপি বল, রহস্য ভেদ করল বৈজ্ঞানিকরা