সংক্ষিপ্ত
- ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক
- লকডাউনের ফলে শরীরে জং ধরে গিয়েছে বলে মনে করেন তিনি
- দীর্ঘদিন না খেলায় শরীর জোম্বি মোডে চলে গেছে বলে মত ডিকের
- ম্যাচ ফিট হতে চার সপ্তাহ লাগবে বলে মনে হয় কেকেআর অধিনায়কের
প্রায় আড়াই মাস ধরে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। যদিও পঞ্চম দফার লকডাউনে বেশ কিছু জিনিস শিথিল করেছে প্রশাসন। তবে ভারতে খেলা কবে থেকে ফিরবে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। কিন্ত একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটারের মত দীনেশ কার্তিকও দ্রুত মাঠে ফিরতে মরিয়া উঠেছেন। দীর্ঘ দিন বা খেলা বা অনুসীলনের বাইরে থাকায় শরীরে জং ধরে গিয়েছে বলে মত কলকতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কের। নিজের শরীরের এমন অবস্থা দেখে নিজেকে জম্বি (স্লথ গতির জীবন্মৃত মানব) বলে আখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান।
আরও পড়ুনঃঘরের মাঠে ফিরে আবেগতাড়িত মেসি,মাঠে নামতে মরিয়া বার্সা তারকা
বহুদিন অনুশীলনের বাইরে থাকায় চট করে ক্রিকেটে ফেরা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না কার্তিকের।তার ধারণা, ফেরার পর ক্রিকেটারদের অন্তত চার সপ্তাহ সময় লাগবে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে। এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক জানিয়েছেন, 'আমার মনে হয় এই যে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন, এটা হতে সময় লাগবে। অন্তত চার সপ্তাহ তো বটেই। ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে, তারপর পরিশ্রম বাড়াতে হবে এবং এর পর তীব্রতা।' লকডাউনে ক্রিকেট অনুশীলন করতে না পারা যে শরীরের ওপর ভালোই প্রভাব ফেলেছে সেটা জানিয়েছেন কার্তিক, 'চেন্নাইয়ে লকডাউন নিয়ে কড়াকড়ি একটু কমেছে। আমরা চাইলে এখন অনুমতি নিয়ে অনুশীলনে যেতে পারছি। আমি সেটাই করব ভাবছি। কিন্তু সেটা ধীরে ধীরে করব। আমার শরীর পুরা জম্বি মোডে আছে। ঘরে বসে আছি, কিছু করছি না।'
আরও পড়ুনঃআইপিএল আয়োজনের জন্য বিসিসিআইকে প্রস্তাব দিল আমরশাহি
আরও পড়ুনঃরোহিতের তৃতীয় ডবল সেঞ্চুরির আগে কেনও কেঁদেছিলেন রীতিকা, কারণ জানালেন হিটম্য়ান
এর আগে ভারতের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর ও বোলিং কোচ ভরত অরুণ বলেছিলেন যে, ছয় থেকে আট সপ্তাহের প্রস্ততি শিবিরের প্রয়োজন হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। তার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামার কথা ভাবা যেতে পারে। ম্যাচ ফিট হওয়ার জন্য এই কটা সপ্তাহ খুব দরকার। কিন্তু ক্রিকেটে ফেরার জন্য এতটাই উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন দীনেশ কার্তিক যে তার মনে হচ্ছে অত দিন লিগবে না চার সপ্তাহই যথেষ্ট জোম্বি মোড থেকে ক্রিকেটার কার্তিক মোডে আসতে।