সংক্ষিপ্ত
- টিভি শো-তে আপ নেতা আশুতোষের মন্তব্যের জের
- তার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং সচিন তেন্ডুলকর
- তেন্ডুলকরকে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বলেন আপ নেতা
- যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হতে হয় আপ নেতাকে
ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তাও ৭ বছর পার। তারপরও নানাভানে খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। আইপিএলের মুম্বাই দলের সঙ্গে তো তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সেভাবে রাজনীতিতে সরাসরি না আসলেও হয়েছেন রাজ্যসভা সাংসদ। যদিও ৬ বছরেরে মেয়াদ শেষে সাংসদ হিসেবে প্রাপ্য তার সমস্ত বেতন দান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। কিন্তু এবার কী সত্যি সরাসরি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে চলেছে সচিন তেন্ডুলকর। আপ নেতা আশুতোষ গুপ্তা এক টিভি শো-তে গিয়ে বার বার যেভাবে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী সচিন তেন্ডুলকর বলে দাবি করেছেন, তানিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা।
আরও পড়ুনঃবিকিনিতে অনুষ্কা শর্মার হট ফটো শুট দেখে ক্লিন বোল্ড বিরাট কোহলি
রাজ্যস্থানের রাজনীতি চলছে নানা ধরনের জল্পনা। বিজেপিকে হারিয়ে সেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হলেও, সরকার চালানো তো দুরস্থ, দলরে অন্দরের ভাঙান রোধ করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছি কংগ্রেসের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। রাজস্থানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি সর্বভারতী টিভি চ্যানেলে বিশিষ্ট অতিথিদের নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার অংশ ছিলেন আপ নেতা আশুতোষও। আলোচনা চলাকালীন তিনি বারবার সচিন পাইলটকে সচিন তেন্ডুলকর বলে সন্বোধন করেন। একইসঙ্গে বলেন,গেহলট অতীত,'সচিন তেন্ডুলকর হলেন ভবিষ্যৎ। সচিন তেন্ডুলকর আগামীদিনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।'
আরও পড়ুনঃপ্লাজাকে নিয়ে দল গঠনে বড় চমক দিল মহামেডান স্পোর্টিং
আরও পড়ুনঃবর্ণ বৈষম্যের প্রতিবাদে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিলেন ৩০ জন প্রাক্তন ক্রিকেটার
আপ নেতার এই মন্তব্যের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ট্রোল। নেটাগরিকরা নানাভাবে বিদ্রুপ করতে থাকেন আশুতোষকে। তার এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। কখনও সচিন তেন্ডুলকরকে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। কখনও আবার নেটিজেনরা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বদলে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে কংগ্রেসের পরবর্তী সভানেত্রী হিসেবে বর্ণনা করেন। আবার কখনও রাহুল গান্ধীর জায়গায় রাহুল দ্রাবিড়ের নাম উঠে আসে। ওই শোতে পরে ক্ষমা চেয়ে নিলেও, নিজের বক্তব্যের জন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির পাত্র হয়ে উঠেছেন আপ নেতা।