সংক্ষিপ্ত
- ২০০২ সালের ১৩ জুলাই ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত
- ইংল্যান্ডের লর্ডসের গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে শার্ট উড়িয়েছিল সৌরভ
- ১৮ বছর পর সেই ঐতিহাসিক জয়ের স্মৃতিচারণা করলেন মহম্মদ কাইফ
- বললেন দেশের ফেরার পর নিজেকে অমিতাভ বচ্চন মনে হয়েছিল
২০০২, ১৩ জুলাই ইংল্যান্ডের লর্ডস। ক্রিকেটের মক্কা সেদিন বিশ্ব ক্রিকেটকে উপহার দিয়েছিল এক এমন ম্যাচ যা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিকেটের ইতিহাসে। শুধু ২২ গজের লড়াই নয়, সেদিনের ন্যাটওয়েস্ট ট্রি ফাইনাল আরও একটি কারণে ক্রিকেটের ইতিহাসে জায়গা করে নেবে। তা হল ঐতিহ্যশালী লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সেদিন ব্রিটিশ ওদ্ধত্যকে দাদাগিরি দেখিয়েছিল বেহালাল বাঁ-হাতি। লর্ডসের ব্যালকনিতে দাড়িয়ে সৌরভের সেই শার্ট খুলে ঘোরানো বাঙালির অন্যতম গর্বের বিষয় বলাই যেতে পারে। আর সেদিন ম্যাচে মুখের সামনে থেকে খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার মতই ইংল্যান্ডের সামনে থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছিলেন তরুণ যুবরাজ সিং ও মহম্মদ কাইফ। আজ লর্ডসের ঐতিহাসিক জয়ের ১৮ বছর পূর্তি। সেই ম্যাচের স্মৃতি চারণা করলেন মহম্মদ কাইফ।
আরও পড়ুনঃফের দেখা মিলবে লর্ডসের দৃশ্য,কবে শার্ট খুলে ওড়াবেন জানালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
সেই ম্যাচে ৭৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মহম্মদ কাইফ। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কাইফ বলেছেন,'আমি যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, তখন স্টেডিয়াম থেকে দর্শকরা ফিরে যাচ্ছিলেন। সচিন যখন আউট হয়ে গেল, তখন আমার বাড়ির লোকজনও টিভির সামনে থেকে উঠে গিয়েছিল। সচিন আউট হওয়ার পর আমার বাবা গোটা পরিবারকে নিয়ে পাশের সিনেমা হলে গিয়েছিলেন ‘দেবদাস’ দেখতে গিয়েছিলেন। আমি অবশ্য ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি।ওই জয়টা ভারতীয় ক্রিকেটের পরিসর বাড়িয়ে দিয়েছিল। দেখিয়ে দিয়েছিল যে আমরাও বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে পারি। আমরাও বড় ফাইনাল জিততে পারি। স্বাভাবিকভাবেই ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতীয় দলের অন্যতম বড় জয় হিসেবে এটাকে দেখেছিলেন অনুরাগীরা।'
আরও পড়ুনঃছবিতে ফিরে দেখা লকডাউন পরবর্তী প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি
কাইফ জানিয়েছেন, ‘আমায় হুড-খোলা জিপে চড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৫-৬ কিমি রাস্তা আসতে প্রায় তিন-চার ঘন্টা লেগে গিয়েছিল। মালা হাতে হাসি মুখে রাস্তায় লাইন দিয়ে মানুষজন দাঁড়িয়েছিলেন। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন ভোটে জেতার পর আমার শহরেই একবার অমিতাভ বচ্চনকে এভাবে জিপে ঘুরতে দেখেছিলাম। ওইদিন আমার নিজেকে অমিতাভ বচ্চনই মনে হয়েছিল।’ সোমবার সেই জয়ের স্মৃতিচারণা করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তাও দিয়েছেন মহম্মদ কাইফ। ন্যাটওয়েস্ট জয়ের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন,'১৩ জুলাই, ২০০২ লর্ডসে আমরা মাউন্ট এভারেস্টে চড়েছিলাম। দাদা শার্টলেস, যুবি নার্ভলেস, জ্যাক’স সাপোর্ট প্রাইসলেস, মি ফিয়ারলেস। মেমোরিস এন্ডলেস।'
শুধু মহম্মদ কাইফ নয়,ন্যাটওয়েস্ট জয়ের স্মৃতি চারণা করলেন যুবরাজ সিংও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাচের বকিছুব মুহুর্তের ছবি শেয়ার করে যুবি লেখেন,'ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ ২০০২ ফাইনালের স্মৃতিচারণ। সবাই মিলে যান লাগিয়ে দিয়েছিলাম জেতার জন্য। আমরা তরুণ ছিলাম এবং আমরা জিততে চেয়েছিলাম। আমরা দলগতভাবে দুর্দান্ত প্রচেষ্টা করে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করতে পেরেছিলাম।' যুবরাজের বক্তব্য থেকেই পরিষকার সেদিনের স্মৃতি কতটা টাটকাএখনও যুবরাজের মনে।