সংক্ষিপ্ত
- সচিন ও ওয়ার্ন দ্বেরথ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতমে সেরা
- দুই কিংবদন্তীর লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকত বিশ্ব
- কিন্তু বেশিরভাগ সময় সচিনেরই জয় হয়েছে এই লডাইয়ে
- সচিনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারন করলেন ওয়ার্ন
ক্রিকেট ইতিহাসে সব থেকে রোমাঞ্চক লড়াই গুলির মধ্যে অন্যত সচিন তেন্ডুলকর বনাম শেন ওয়ার্নের লড়াই। বিশ্বকে নিজের স্পিনের যাদুতে ফাঁসাতে পারলেও, সচিন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে কোনও দিনই খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি টেস্ট ক্রিকেটে ৭০০ উইকেটের মালিক। মাঠে তারা প্রতিপক্ষ হলেও, মাঠের বাইরে কিন্তু খুবই ভাল বন্ধু সচিন ও ওয়ার্ন। সেই মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার স্মৃতি তুলে ধরলেন অজি তারকা স্পিনার।
আরও পড়ুনঃবারান্দাকেই জিম বানিয়ে ফেলেছেন বিরাট, ভাইরাল কোহলির শরীরচর্চার ভিডিও
১৯৯১-৯২ মরসুমে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সেই সফরেই অভিষেক হয়েছিল শেন ওয়ার্নেরও। সেই টেস্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ ছিল সিডনিতে। টেস্টের প্রথম দিনই সচিনকে বল করেছিলেন ওয়ার্ন। সেই ম্যাচেই ১৪৮ রানের ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলেছিলেন সচিন। পরে পার্থের বাউন্সি উইকেটে অনবদ্য। শতরান করেছিলেন ছোটে নবাব। সেই প্রসঙ্গে ওয়ার্ন জানিয়েছেন,'যখন প্রথম সচিনকে দেখি, তখন ওর বয়স ২১। কিন্তু দেখতে ১০ বছরের ছেলের মতো লাগছিল। আমাদের সব বোলারকেই যথেচ্ছ পিটিয়েছিল। এটাই হচ্ছে সচিনের বিশেষত্ব। যেখানে দেখতে লাগে অতি সাধারণ। কিন্তু খেলে অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে।'
আরও পড়ুনঃকেকেআরেরে পর এবার বিজেপিতে মেসি, ভাইরাল মিম ঘিরে হইচই
আরও পড়ুনঃকেকেআরে খেলবেন কি মেসি, ভাইরাল ফটো ঘিরে তোলপার নেট দুনিয়া
ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের টেস্ট ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় এই কথা বলেছেন ওয়ার্ন। একইসঙ্গে সচিনের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ওয়ার্নি। তিনি বলেন, এই ধরনের ক্রিকেটাররা একটা ভাল বল পেলে তা ফিল্ডারের হাতে মেরে নষ্ট করে না। বরং দুই ফিল্ডারের ফাঁক দিয়ে তা সীমানার বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করে। তাতে বোলাররা চাপে পড়ে যায়। সচিন সেটাই করত। এ ভাবে খেললে ব্যাটসম্যানেরা অনেক নির্বিষ বল পেয়ে থাকে।' সচিনের আক্রমণাত্ব ব্য়াটিংয়েরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ওয়ার্ন। সচিন আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করত বলেই বোলাররা চাপে থাকত বলেও জানিয়েছেন ওয়ার্ন। কিন্তু ছোটে চেহারার সচিন যে কতটা কাজে ভয়ঙ্কর সেই কথাই বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অজি স্পিনার।