সংক্ষিপ্ত
- আইপএলের ভবিষ্যত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিসিসিআই
- টুর্নামেন্ট না হলে হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা
- জানালেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
- আইপিএল না হলে কাটা হতে পারে প্লেয়ারদের বেতনও
২৯ শে মার্চ শুরু হওয়ার কথা আইপিএল টোয়েন্টি-টোয়েন্টি। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে কোনও তারিখই নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে আইপিএলের। পরিস্থিতির কথা বিচার করে ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএলকে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএলের গভর্নিং বডি ও বিসিসিআই। দেশের করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আইপিএলের আকাশে অন্ধকার গাঢ় থেকে অতি গাঢ় হচ্ছে। টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও প্রকার ভবিষ্যৎবাণী করতে পারছেন বোর্ডের কর্তারা। যদিও অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একটা ক্ষীণ আশা রয়েছে আইপিএল হবার। যদিও তাও নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপরে। ফলে আইপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তা যত বাড়ছে ততই চিন্তার ভাঁজ চওরা হচ্ছে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মাথায়। এতদিন আইপিএল না হলে ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে মুখ খোলেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার নিজেই জানালেন সেই অঙ্ক। যা ষুমে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার জোগাড়।
আরও পড়ুনঃ'ভবিষ্যতে আইসিসিকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে সৌরভের',মন্তব্য ডেভিড গাওয়ারের
এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান,আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। আগে দেখতে হবে আমাদের হাতে কী পরিমাণ অর্থ রয়েছে, তারপরেই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইপিএল আয়োজন করতে না পারলে বোর্ডকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। অর্থাৎ ক্ষতির অঙ্কটা বিপুল।’ ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের বিষয়ে তাঁর সংযোজন, ‘আইপিএলে আমরা যদি আয়োজন করতে পারি তাহলে পারিশ্রমিকে কোনওরকম কাটছাঁটের প্রয়োজন হবে না। আমরা সামলে নিতে পারব পুরো বিষয়টা।’ কিন্তু যদি শেষ পর্যন্ত আইপিএল করা না যায় তাহলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকে কাটছাঁট করতে হবে।
আরও পড়ুনঃকরোনা আবহে আজ শুরু হচ্ছে বুন্দেশলিগা,জেনে নিন লিগের নয়া নিয়মাবলী
আরও পড়ুনঃঘরে বসেই দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামের আমেজ,অভিনব পন্থা বুন্দেশলিগার ব্রডকাস্টারের
বিপূল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবেই আইপিএল আয়োজন করার শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে চাইছে বিসিসিআই। তারজন্য নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শুধু বোর্ডের নয়, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও। সেই কথাও মাথায় রয়েছে বিসিসিআইয়ের। ফ্র্যাঞ্চাইজগুলির পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ চাপও রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইপিএল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিসিআই। প্রয়োজনে ছোট সংস্ককরণ করার কথা ভাবা হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে।