সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ওয়াসিম আক্রম
- ১৯৮৮ সালে ভিভ রিচার্ডস তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল
- অতিরিক্ত স্লেজ করার জন্য রেগে গিয়েই এই কাজ করছিলেন ভিব
- আকাশ চোপড়াকে লাইভ চ্যাট শোতে জানিয়েছেন আক্রম
ভিভিয়ান রিচার্ড ওয়াসিম আক্রমকে খুন করে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। কী, শুনে অবাক হলেন। হ্যা, এটাই সত্যি। যা এতদিন সকলের অন্তরালে ছিল। লকডাউনে সেই অজানা তথ্যই সামনে আনলেন পাতিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবীর একাধিক দেশে চলছে লকডাউন। যার ফলে ঘরবন্দি অবস্থাতেই জীবন কাটছে ক্রিকেটারদের। পরিবারের সঙ্গে সময়কাটানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকটা সময় কাটাচছেন প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটাররা। এমনই একটি লাইভ চ্যাট শো-তে আকাশ চোপড়াকে ওয়াসিম আক্রম জানিয়েছেন ক্যারিবিয়ান তথা বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি ভিভিয়ান রিচার্ডস তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃলকডাউনে নস্টালজিক রবি শাস্ত্রী,শেয়ার করলেন দেশের মাটিতে করা প্রথম সেঞ্চুরির ছবি
বিস্তারিত বলতে গিয়ে য়াসিম আক্রম জানিয়েছেন,'১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। বার্বাডোজ টেস্টে রিচার্ডস ও আক্রমের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলেছিল।দিনের শেষ ওভারটা করছিলাম আমি। বেশ জোরেই বল করছিলাম। রিচার্ডসও বুঝতে পারছিল আমাকে সামলানো কঠিন। আমি একটা বাউন্সার দিলাম। কোনওমতে রিচার্ডস সরে গেলেও ওঁর টুপিটা পড়ে গিয়েছিল মাথা থেকে। সেই সময়ে রিচার্ডসের টুপি মাথা থেকে পড়ে যাওয়া বিরাট ব্যাপার ছিল। এর পরেই আক্রম এগিয়ে গিয়ে রিচার্ডসকে স্লেজ করে বসেন। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি নিষেধ করলেও তা নাকি শোনেননি আক্রম।' তৎকালীন পাক অধিনায়ক ইমরান খানকে সবটা বলেন আক্রম। ইমরান সাহস জুগিয়ে আক্রমকে বলেন, ‘‘চিন্তা করার দরকার নেই। ওকে আবার বাউন্সার দাও।’’ ইমরানের কথা মতো আক্রম বাউন্সার দেন। রিচার্ডস ‘ডাক’ করেন। আক্রম ফের স্লেজিং করে বসেন রিচার্ডসকে। দিনের শেষ বলে ইনসুইংয়ে রিচার্ডসকে বোল্ড করে আক্রম বলে ওঠেন, “গো ব্যাক।’’
আরও পড়ুনঃফের করোনার থাবা লা লিগায়, নতুন করে করোনা আক্রান্ত স্পেনের ৫ ফুটবালর
আরও পড়ুনঃ১৬ মে নতুন শুরু,তার আগে জেনে নিন বুন্দেসলিগার প্রথম দশ দলের অবস্থান
ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন রিচার্ডস। ছেড়ে দেওয়ার পাত্র একেবারেই ছিলেন ক্যারেবিয়ান তারকা।রিচার্ডস এত সহজে মেনে নেওয়ার বান্দা ছিলেন না। ড্রেসিং রুমে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই আক্রম দেখেন তাঁদের সাজঘরের বাইরে খালি গায়ে ব্যাট হাতে এসে দাঁড়িয়েছেন রিচার্ডস। সেই দৃশ্য দেখে তো দারুণ ভয় পেয়ে যান আক্রম। ছুটে যান অধিনায়ক ইমরানের কাছে। ইমরান তখন আক্রমকে উদ্দেশ করে বলে ওঠেন, “আমি কিছু করতে পারব না। তোমার যুদ্ধ এটা। তুমি গিয়ে সামলাও।’’ আক্রম তো তাঁর অধিনায়কের এ হেন প্রতিক্রিয়ায় অবাক। ইমরানকে বলেন, ‘‘তোমার চেহারা তো বেশ ভাল। তুমি নিজে না গিয়ে আমার মতো রোগা এক জনকে পাঠাচ্ছ রিচার্ডসকে সামলাতে?’’আক্রম বুঝে যান এই যুদ্ধে তাঁর পাশে নেই কেউ। রিচার্ডসের কাছে গিয়ে তিনি জানান, এ রকম আর কোনও দিন হবে না। আক্রম দুঃখপ্রকাশ করায় রিচার্ডস বলেন, ‘‘ফের যদি তোমাকে এ রকম করতে দেখি, তা হলে খুন করে ফেলব।’’ যদিও ভবিষ্যতে দুই কিংবদন্তীর মধ্যে কোনও ঝামেলা ছিল না। দুনে বেশ ভাল বন্ধু হয়ে ওঠেন । একাধিক অনুষ্ঠানে দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। তবে ১৯৮৮-র সেদিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতি যে আজও টাটকা আক্রমের মনে তা তিনি স্বীকের করেছেন আকাশ চোপড়ার কাছে।