সংক্ষিপ্ত

দেবী দুর্গার কৃপা লাভের জন্য মন্দিরের কাছে এভাবেই শুয়ে থাকার নিয়ম চলে আসছে পুরুলিয়ায়। কোথাও আবার ছৌ নাচের মাধ্যমে মাকে বিদায় জানানো হল।

করোনার (Corona) জেরে প্রায় দু'বছর ধরে নাজেহাল দেশবাসী। সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। এমনকী, করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে দুর্গাপুজোতেও (Durga Puja) এই দু'বছর মন খুলে আনন্দ করতে পারেননি ছোট থেকে বড় বহু মানুষ। তাই মন খারাপ প্রায় সবারই। সেই দুঃখের সঙ্গে দশমীর (Vijaya Dashami) বিষণ্ণতার সুর মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। তবে আগামী বছর যাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়, পৃথিবী করোনা মুক্ত (Corona Free World) হয় সেই প্রার্থনায় মাটিতে সারি দিয়ে শুয়ে থাকল শিশুরা। আর তাদের উপর দিয়ে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হল দশমীর নবপত্রিকা। 

দেবী দুর্গার (Devi Durga) কৃপা লাভের জন্য মন্দিরের কাছে এভাবেই শুয়ে থাকার নিয়ম চলে আসছে পুরুলিয়ায় (Purulia)। কোথাও আবার ছৌ নাচের মাধ্যমে মাকে বিদায় জানানো হল। নবপত্রিকা নিরঞ্জনের (nabapatrika immersion) ক্ষেত্রে পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক ছবি উঠে এসেছে। 

আরও পড়ুন- 'ভুবনমোহিনী মায়ের আশীর্বাদে বাংলায় অক্ষুণ্ণ থাকুক সম্প্রীতির সুর', বিজয়া দশমীতে শুভেচ্ছা মোদী-মমতার

দশমীর বিষাদের মধ্যেও যেন এক টুকরো আনন্দ ফিরে এল রাঙামাটি পুরুলিয়ায়। মায়ের কৃপা লাভের জন্য মাটিতে গড়াগড়ি দিল শিশুরা। আর তাদের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হল নবপত্রিকা। কোথাও পুরুলিয়ার ঐতিহ্যপূর্ণ লোকসংস্কৃতি ছৌ নাচের মধ্যে দিয়ে আয়োজিত হল মা দুর্গার নবপত্রিকা নিরঞ্জন। সঙ্গে মহিলাদের নৃত্য ছিল বাড়তি আকর্ষণ। মা দুর্গার নবপত্রিকা নিরঞ্জন ঘিরে আজ জেলার প্রতিটি প্রান্তে এক অন্য রকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন- পুজোর পরই দুর্যোগের আশঙ্কা, সপ্তাহান্তে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

শাল, পলাশ, বাবলার দেশ পুরুলিয়ায় কোথাও সবুজ গাছগাছালির ফাঁকে, কোথাও কাঁচা-পাকা ধানের ক্ষেতের আল দিয়ে নবপত্রিকা নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার ছবি উঠে এসেছে। তবে পুরুলিয়ার ঝালদায় আনন্দ বাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের ছৌ নাচের মাধ্যমে নবপত্রিকা নিরঞ্জন সবার নজর কেড়ে নিয়েছে।

পাঁচ দিন বাপের বাড়িতে থাকার পর আজ দশমীর দিন মায়ের শ্বশুর বাড়ি কৈলাসে ফেরার দিন। উমা আজ শ্বশুর বাড়ি ফিরে যাবেন, সেই কারণে আকাশে বাতাসে এখন শুধু বিষাদের সুর।  আর তাঁকে শ্বশুর বাড়ি পাঠানোর সময় পুরুলিয়া জেলার ঐতিহ্য ছৌ নাচের আয়োজন করা হয়েছিল। তা ছিল এক কথায় অভিনব। নিরঞ্জন ঘিরে এলাকাবাসী তথা মহিলাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। 

 আরও পড়ুন, মমতাকে সমর্থন গোয়ার বিধায়কের, BJP-কে তোপ দেগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রসাদের

তবে মাকে বিদায় জানানোর সময় আকাশে বাতাসে বিষাদের সুর থাকলেও আগামী বছর যাতে দেশ করোনামুক্ত হয় সেই প্রার্থনা করেন জেলাবাসী। আর এই প্রার্থনার সঙ্গে আবার আগামী বছরের দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল আজ থেকেই।

YouTube video player