সংক্ষিপ্ত
নবমীতে কুমারী পুজোর সঙ্গে সদবা পুজোতে মাতোয়ারা কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ী পুজো। যদিও নিয়মের বেড়াজালে ওড়ানো হয় না কৈলাসে বার্তা বহনকারী নীলকন্ঠ পাখি । জাঁকজমকে ভাটা পড়লেও, তবুও আজও জমজমাট মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের ছোট রাজবাড়ির দুর্গাপুজো।
নবমীতে (Durga Puja Navami) কুমারী পুজোর সঙ্গে সদবা পুজোতে মাতোয়ারা কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ী পুজো । বৈচিত্রর এমন মেলবন্ধধন কার্যত দুর্লভ বলায় চলে। যদিও নিয়মের বেড়াজালে ওড়ানো হয় না কৈলাসে (Kailash) বার্তা বহনকারী নীলকন্ঠ পাখি (Bird) ।তবুও আজও জাঁকজমকে ভাটা পড়লেও, আভিজাত্য আর বনেদিয়ানায় নজর কেড়েছে মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের ছোট রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর (Durga Pujo in Murshidabad Kasimbazar Rajbari ) অজানা কাহিনী ।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: নবমীতে ঐতিহ্য মেনে কুমারী পুজো মুদিয়ালিতে, এবার পালকিতে রাজকীয় যাত্রাও
কাগজে হাতে লেখা পুঁথি দেখে মায়ের পুজো করা হয়। ঝাড়বাতির আলোয় ঝলমলিয়ে উঠেছে নাটমন্দির। প্রতিপদ থেকে চণ্ডীপাঠ ও দুর্গানাম জপ শুরু হয়েছে। চলছে নবমী পর্যন্ত হবে কুমারী পুজো। বহরমপুরের এই রাজবাড়ির পুজো দেখতে দূর দূরান্তের মানুষ আসেন। প্রতিবার এলাকার বাসিন্দারাও রাজবাড়ির পুজো দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন। ঢাকের আওয়াজে রাজপ্রাসাদ গমগমিয়ে ওঠে। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার বিধি নিষেধ মানতে হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে পুজোর কিছু নিয়ম শিথিল করতে হয়েছে। এক সময় দশমীর দিন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হতো। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখন আর কৈলাসে বার্তা বহনকারী সেই পাখি ওড়ানো হয় না। বলি প্রথারও অবসান হয়েছে। দেবীর ভোগে এখন মাছের ঝোল ও মিষ্টি দেওয়া হয়।রাজ পরিবারের সদস্যরা বলেন,'বলরাম সুভদ্রার রথযাত্রার দিন থেকে কাঠামো পুজো করা হয়। একচালার সাবেক মূর্তি তৈরির কাজ তারপরেই শুরু হয়। প্রতিপদে ঘট ভরে চণ্ডীপাঠ হয় ।' এখানে কুমারীর পাশাপাশি সধবা পুজোও করা হয়। প্রথা মেনে দশমীর দিন অপরাজিতা পুজো হয়। ওই দিন দীপান্বিতা কালীর কাঠামোতেও পুজো করা হয়।
বহরমপুরের বাসিন্দা চন্দন রায় বলেন, 'মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহর কেবল জেলার সদর শহর নয় এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে নানান স্মৃতি। যা এক কথায় দুষ্প্রাপ্য। তার মধ্যে এই কাশিমবাজারের ছোট রাজবাড়ি এখনও আভিজাত্য ধরে রেখেছে। বিশাল প্রাসাদে প্রবেশ করলে রাজকীয় আমেজ পাওয়া যায়। আর পুজোর দিনগুলিতে এই রাজবাড়ি আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। নাটমন্দিরে রয়েছে ঝাড়বাতি। বড় পিতলের ঘট। বিশাল এই প্রাসাদ ভালোভাবেই সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। রাজবাড়িতে রয়েছে অতিথিশালা, পুরানো দিনের আসবাব। রাজাদের ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিষপত্রও সযত্নে রাখা হয়েছে। আঠারো শতকে এই রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে