পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নজিরবহিনী। দিনহাটায় ব্যালট বাক্সে ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হল।
সন্ত্রাসের আতঙ্কে সাধারণ ভোটাররা প্রাণ বাঁচানোর দায়ে আম বাগানের ভেতর লুকিয়ে আছেন, স্থানীয় পুলিশের ফোন সুইচ অফ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসনাবাদে তৃণমূল কর্মীদের ওপর ব্যাপক মারধর ও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
শাসক ও বিরোধীদের সংঘর্ষে উত্তাল উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে। বিধানসভা নির্বাচনে যে কোচবিহার গুলিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবারও গুলি চলল সেই কোচবিহারে।
পঞ্চায়েত ভোটে মাত্রা ছাড়া সন্ত্রাস বাংলায়। মুর্শিদাবাদে খুন তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। কালিয়াচকে খুন এক। জলপাইগুড়িতে আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী।
কোথাও চলছে দেদার ছাপ্পা ভোট, কোথাও ১ ঘণ্টাতেই ভোটগ্রহণ শেষের পরিস্থিতি, কোথাও লুঠ হয়ে গিয়েছে ব্যালট, কোথাও আবার ভোটকেন্দ্রের বাইরেই উদ্ধার হল তাজা বোমা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে ভোট বয়কট করলেন এলাকার মানুষ। হিংসায় উত্তপ্ত পঞ্চায়েত ভোট।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনসভয় পৌঁছে যায় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। সেখানে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তারপর রাজ্যপালের কনভয় যায় ব্যারাকপুরে।
দিকে দিকে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা হওয়ার ঘটনাকে মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে রাজ্যের শাসকদল।
রক্তপাত, প্রাণহানি, বন্দুক, গুলি আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ভারী বুটের শব্দ। সেসব ছাপিয়েই শনিবার ৮ই জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের দিন যাতে কোনও রকমের কোনও অশান্তি না হয় সেদিকেই কড়া নজর রাখছে প্রসাশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচনে কমিশের চাহিদা মত রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এক কোম্পানিতে ৮০ জন করে জওয়ান থাকবে বলে যদি ধরে নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ৬৫ হাজার। রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। রাজ্য পুলিশের সংখ্যা ৭০ হাজার। সব মিলিয়ে রাজ্যে হাতে নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে ১৩৫০০০ । তাই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না।
সব কটি জেলার মূল দাবি গ্রামীণ রাস্তার হাল ফেরানো, পরিশ্রুত পানীয় জল, পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমানো, নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান, সেচ কাঠামোর উন্নয়ন, একশো দিনের কাজ বা বিকল্প কাজের ব্যাবস্থা করা, আবাস যোজনায় বাড়ি অনুমোদন ও বোমা -বন্দুক উদ্ধারে জোর।
নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নতুন প্রস্তব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর তথা বিএসএফ-এর আইজি। কোনও বুথে হাপ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারবে না।